আশ্বিন মাসে সাজো সাজো রব, দুগ্গা দেবী আসে
ছানা পোনাও সঙ্গে যে তার, অসুর শুয়ে ত্রাসে
দিনের বেলা সূয্যি মামা, ছড়ান মিষ্টি আলো
প্রযুক্তি'র হাত টি ধরে, রাত ও ঝলোমলো
টুনি'র বাসায় সূয্যি মামা'র, পৌঁছয় না হাত
আবছা আঁধার প্রাণের সখা, জোটে না তার ভাত
লোকের বাড়ি কাজের খোঁজে, ফেরেন টুনি'র মা
একটি বেলার জুটলে খাবার, মিটবে কালিমা
টুনি নিজের মা রে সুধায়, দুগ্গা কেন আসে
কেন লক্ষী সরস্বতী কাত্তিক গণেশ হাসে
ওদের কেন নতুন পোশাক, আমার কেন ছেঁড়া
এতো আলো'র মাঝে কেন, আঁধার আমার ডেরা
দুঃখিনী মা ক্লিষ্ট হেসে, বলেন, "ওরে টুনি"
ওরা শুধুই মাটি'র পুতুল, সাজানো সুরধনী
মা তো সদাই বুকের মাঝে, দুঃখে এবং সুখে
প্রকৃত মা দেবেন দেখা, শুধুই মনের চোখে
এই যে নিজের ভাগের রুটি ভুলু কে তুই দিলি
কুড়োনো মাছ মেনি'র সাথে ভাগ করে তুই খেলি
ভুলু'র লেজ নাড়ানো তে, মা হন বেজায় খুশি
মেনি'র আদর, মায়ের ছোয়া, দাম টি তাহার বেশি
গরিব মোরা, পয়সা টাকায় , আমির মোরা মনে
ভালোবাসা ছড়িয়ে, রাখি ভালো, জনে জনে
পরিশ্রমের করি পুজো, প্রসাদ মোদের ঘাম
ছেঁড়া পোশাক, মনে করি, সততা'র এক নাম
দুগ্গা মায়ের অসীম দয়া, ব্যাধি রাখেন দূরে
জীবন যাপন করি মোরা, রোগমুক্ত সুরে
খাটার শক্তি দিয়েছেন শরীরে ভরপুর
শরীর এবং মনের জোরে যাবো বহু দূর
ছোট্ট চাওয়ায় থাকি ভালো, অল্প পাওয়ায় খুশি
স্বাভিমানের বোধ তা মোদের, ধনীর চাইতে বেশি
নতুন জামা না হলে, তাই, লজ্জা কোনো নাই
শুদ্ধ মনে মায়ের নামেই, সেলাম ঠুকে যাই