আমি স্বাধীন, নিচ্ছি যে শ্বাস, বিনা অনুমতি
পরম পিতা দিলেন অঢেল,জীবন পেল গতি
আমি হাসি, মনের সুখে, কারো নির্দেশ বিনা
ঘরের কোণে, কান্না আমার, কেউ যে তা দেখে না
স্বাধীনতার সীমারেখা, হলো এতেই শেষ
তবুও দেখি জীবনটা ভাই , যাচ্ছে কেটে বেশ
ছেলে বেলায় বিদ্যালয়ে, ঘুচলো স্বপ্ন দেখা
স্বাধীন চিন্তা নেই যে কোনো সিলেবাসে লেখা
ক্লাস ১০ এর দরজা থেকে, স্ট্রিম বাছার কালে
ভালো ছেলে হওয়ার বাতাস, বিজ্ঞানেরই পালে
সাহিত্যের কোমলতা পেল না তা’র প্রাপ্য
ডাক্তার কি ইঞ্জিনিয়ার, আর বাকি সব ব্রাত্য
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাশেষে উপার্জনের তাড়া
বাবা’র হোটেল অনেক হলো, নিজের পায়ে দাড়া!
সেই তাড়া তে ভুলতে হলো, নিজের মন কি চায়
স্বাধীনতা ভুলতে হবে, উপার্জনের দায়
স্বাধীন আমি, কামাই আমি, আমাকে কে পায়
ক খানা বোন আছে ছোট, দাদা’র থাকেই দায়
অতএব শখ আহ্ল্লাদে হলো যে কাট-ছাট
বাবা মা ও বোনেদেরই, থাকুক না ঠাট বাট
বাড়ি, তাও যে জরাজীর্ণ, সংস্কার দরকার
ফ্ল্যাট কেনাটা থাক না বাকি, দায় টা যে আমার
বাড়লো তলা, ঢাকলো ফাটল, মায়ের মুখে হাসি
স্বাধীনতার তুলনায় যে, সেটাই ভালবাসি
বাউন্ডুলে প্রকৃতি মোর, বিয়ে তে নেই মন
বিয়ের বাধন বড্ড জটিল, এড়ায় সর্বক্ষণ
আরো জটিল বাবা মাযের, চাপ এড়িয়ে যাওয়া
স্বাধীন জীবন মুক্তি পেল, টোপর মাথায় দেওয়া
গুরুজনে বললে ডেকে, সংসারে মন দাও
স্বাধীনচেতা হওয়ার স্বপ্ন, এবার ভুলে যাও
চাকরি এবং ঘরের চাপে, “স্বা” যে মেলে পাখা
“পরা” এসে বসলো উড়ে, হয়ে “ধীন” এর সখা
বাড়ছে বয়স, কাটছে জীবন, আছি নিরুদ্বিগ্ন
মাঝে মাঝে “স্বা” দেয় উকি, ঘটায় যত বিঘ্ন
আজও ভাবি, একলা বসে, আমি কি আমার?
জীবন টা কি বইছে সুখে, নেই কি দুখঃ তা’র
স্বাধীনতা ত্যাগ করা কি, হযেছে উচিত কাজ
স্বাধীন হতে পারলে কি আজ হতাম মহারাজ?
যখন দেখি সুখেই আছে, স্ত্রী, ও বাবা মা
পুত্র মুখের হাসিই মেটায়, দ্বিধা’র কালিমা