রাবন বাবুর মন টা খারাপ, ছুটেছে তার ঘুম
বা দিক থেকে দ্বিতীয় মাথা, বাজছে যে দুম দুম
তাঁকে ছিল অম্রুতাঞ্জন, তার ও ফাঁকা শিশি
আর কোনো বাল্ম নেই যে ঘরে, দেশী কি বিদেশী

মন্দোদরী, সে তো গেল, কালই বাপের বাড়ি
কুম্ভকর্ণ, সেও খেলো, চার গামলা তাড়ি
তাড়ি’র জোরে নিদ্রা দেশে, গেছে কিছু আগে
মাস পাঁচ ছয়র ধাক্কা এবার, তখন যদি জাগে

ইন্দ্রজিত তো, উড়েই বেড়ায়, মেঘের দেশে বাস
এদিকে বেচারা বাপ এর উঠছে নাভিশ্বাস
কুচুটে ওই বিভীষণ টা, সেও গেছে চলে
নাকে ব্যাণ্ডেজ বেধে বোন্ টি, কাঁদছে তলে তলে

ভাবছে রাবন, কি করা যায়, কে টিপবে মাথা
মহল এর সব পরিচারক, এক থেকে এক যা ত়া
অশোক বাটিকা তে সীতা, দয়া করে যদি
বইয়ে দেবে দুগ্ধগঙ্গা, ছেড়ে রক্ত নদী

মাথা টেপার প্রস্তাব ত়া হলো প্রত্যাখ্যান
সীতা নাকি চেরিটাকে, থাবরেছে দুই খান
সেই রাগেতে রাবন ছুটে অশোক বোন্ এ যায়
দশটি মাথা লটর পটর, দুই দিকে দোল খায়

সেই দুলুনি করলো যে দূর, মাথা ব্যথার ব্যামো
রাবন খুশি, ভাবছে মনে, হলনা নিতে chemo
অতএব সে করলো যে ঠিক, সীতা হেথায় থাক
মাথার ব্যামোর ঔসাধি থাক, রাজ্য খানা যাক