"শতবর্ষ" কবিতাটি লিখেছিলাম রবি ঠাকুরের ১৪০০ সাল কবিতাটি পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ।
নীরবে বসে দক্ষিণ বাতায়ন খোলে
আজি হতে শতবর্ষ পরে,
কেউ কি পড়িবে আমার কবিতাখানি
গভীর আগ্রহে কৌতুহল ভরে,
শতবর্ষ আগের কবিকে স্মরণ করে।
আমার বসন্তের গান তোমার বসন্তের দিনে
সুরে মিলবে কি একই সুরে,
জ্যোসনা মাখা রাতে শিশির ঝরা ধানের শীষে
দেখতে পাবে কি দুচোখ ভরে,
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
চারিদিকে সোনালী ফসল ভরা মাঠ
আনন্দ মনে আত্মহারা কৃষকেরা,
নতুন ধানের রকমারী পিঠা বানাতে
পল্লীবধূ আর মায়েরা খুশীতে,
এমন অনুভূতি জাগবে কি তোমাদের প্রাণে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
বৈচিত্র ফুলের সুবাস, ভ্রমরের গুণজণে
বিহঙ্গের মধুর গানে
পল্লীগীতি, ভাটিয়ালী, রাখালের বাঁশির সুরে
জাগবে কি হিয়ার মাঝে, গভীর অনুরাগে,
একই অনুভূতি, শিহরণ তোমাদের হৃদয়ে
আজি হতে শতবর্ষ পরে।
আষাঢ়ের ঢল থৈথৈ অথৈ জল
আনাচেকানাচে ফোঁটে থাকা শাপলা,
চারিদিকে নানান মাছের আনাগোনা
মাখা-মাখি করে কাদা,মাছ ধরা,
কেটে যায় ছেলে-মেয়েদের বেলা
শতবর্ষ পরে,পাবে কি এমন খেলা।
আধুনিক যুগ পেরিয়ে আমরা
করছি বাস ডিজিটাল যুগে,
কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ডিস লাইন আর
ইন্টারনেট, ফেইসবুক, ইমেইলের মাধ্যমে,
দ্রুত যোগাযোগ দুনিয়াটা হাতের মুঠোয়
এমন যুগের ছোঁয়া পাবে কি তোমরা
শতবর্ষ পরে তোমাদের সময়ে,।
আমার হৃদয়ের অনুরাগের কথা
কবিতার লাইনে রেখে গেলাম বার্তা,
হয়তো আবির্ভাব হবে কোন নতুন কবির
গাইবে অন্য কোন বসন্তের গান,
শতবর্ষ পরের নতুন কবিকে জানাই
অগ্রিম শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা সম্মান।
খুঁজবে তোমরা শতবর্ষ পরে
শতবর্ষের আগের কবিকে,
পাবে না খুঁজে পৃথিবীর মাঝে
খূঁজে পাবে শুধু তার কবিতা, উপন্যাসে,
কবিতায় তার কবিত্ব, উপন্যাসে প্রেম-কাহিনী
তার সম্পর্কে জানতে হলে,
পড়তে হবে তার ক্ষুদ্র জীবনী।
নতুন যুগের জয় জয় নতুন গানে
গায়বে সবাই মধুর একতানে,
স্বর্গ থেকে শুনবো আমি অবাক হয়ে
কি আনন্দ জাগবে প্রাণে।