হাসপাতালের সাদা উপত্যকা এখন আমার বিচরন ভুমি
ফোঁটা ফোঁটা লবন কণা কবেই পড়ে গেছে সমুদ্রের গভীরে ।
গোপনে বেরিয়ে থাকা অধরা তবলায়
বৃষ্টির জন্য এমন অপেক্ষা ছিল
অপেক্ষা ঘুচেছে আজ রক্তক্ষরন ।
জলীয় বাষ্পের টান পড়েছে নিরঙ্কুস ব্যর্থতার বজ্রপাতে
উদাম নৃত্যের মত ধুলো উড়ে লোকালয়ের খোলা দরজায় ।
হাড়মজ্জায় ফসফরাসের বারুদ সব ছারখার হয়ে যায়
ছারখার হয় না শুধু প্রথম প্রেমের উষ্ণ চুম্বন ।
স্বয়ম্পূর্ণ কবি তাই সঞ্চয় রেখেছে কাঁধের ঝোলানো ব্যাগে ।
উঠানের জারুল গাছটা ক্ষয়ে গেছে নিকোটিনের ধোঁয়ায়
তবু সাক্ষি আছে প্রেমের কাটিকুটি খেলার ।
সবিস্তারে ঘর্ষন চিহ্নহীন দেয়ালে আবর্তিত শেষ অশ্রুকণায়
হাসপাতালের বেডে তাই রক্তক্ষরনের গতির ক্ষিপ্রতা বেড়ে চলে ।