কে তোমাকে উতলা করে?
এক ঘুমে ঘুমে, স্বপনে-স্বপনে।
নির্বাক মনে কথা অবিচল
সে কে? তোমায় উতলা করে।

সে কে? যে হৃদয় ছুয়ে যায়
কে সে? তোমায় পেতে চায়।
মৃদু বাতাসে কার আওয়াজ তুমি শুনতে পাও
বৃষ্টির ফোঁটায় কার স্পর্শ তুমি পেতে চাও।

কে তোমাকে উতলা করে?
এক জীবনে, এক নিরবিলিতে।
হৃদয় ক্ষত হয়ে রক্ত ঝরে
সে কে? যার ব্যাথায় তোমার মরে যেতে সাধ জাগে।

সে কি কোনো মানুষ?
নাকি কোন চাওয়া-পাওয়া?
নাকি কোনো অবচেতন অনুভূতি
সে কে? যে তোমায় উতলা করে।

উতলা হয় জলাঙ্গী তীব্র বাতাসে
তুমি কি তবে সেই জলাঙ্গী?
নাকি তোমার আছে জল!
সে বাতাস কে?
যে তোমায় উতলা করে।
      
অনুভূতির চোখে রঞ্জক
ভেতরের প্রতিচ্ছায়া বাহিরে বিরঞ্জক।
ভেতরে নেই চাওয়া বাহিরে কেন পাওয়া?
ভেতর তোমার পূর্ণ্য,তবে বাহির কেন শূণ্য?

সে কে? যে তোমায় তোমার কাছ থেকে দূরে রাখে
তোমার নিশি রাইতের ঘুম ভাঙ্গিয়ে দেয়।
তুমি হেসে উঠলে এক অনাবিল সুখ তোমায় কাছে টেনে নেয়
সে কে? যে তোমায় এমোতো মূহুর্তে উতলা করে।

অন্ন-বস্ত্রের অভাবী তুমি নও
জীবনটা বেশ চলছে, চলুক!
সে কে? যে তোমায় আকাশ ছুতে বলে!
আকাশকে কি ধরে রাখা যায়?
না পাশে পাওয়া যায়?
তবে কেন আকাশ পেতে চাও?

কেন সমুদ্রের গভীরে ডুবে যেতে চাও?
স্নানের জন্য কি একটি ডোবাই যথেষ্ট নয়?
সে কে? যে তোমায় সূর্যের মতো ঘুরতে বলে
টবে ফুটে থাকা একটি স্থির পুষ্পের সৌন্দর্য কি কম?

জীবন মানে কেবল দুঃখ!
কে বলেছে? কোন মূর্খ?
জীবন মানে বেঁচে থাকা!
জীবন মানে শত দুঃখের পর একটি আনন্দসিক্ত মুহূর্ত।

তুমি বাঁচতে এসেছো
বিলাসের তরে নয়!
তুমি একবার এসেছো
আর কোনোদিন নয়!

তুমি হাঁসবে আবার কাঁদবে
কাঁদবে আবার হাঁসবে!
সে কে? যে তোমায় কেবল হাঁসতে বলে
কে সে? যে তোমায় উতলা করে।।