আজ বড্ড মনে পড়ে তোমায়
প্রাতে-মধ্যাহ্নে -গোধূলী বেলায়
সেই যে গেলে ভরাডুবি ভাদ্রে
আমাদেরকে অশ্রুজলে ডুবিয়ে
দিয়েছিলুম কলাপাতায় ভাসিয়ে
তারপর কত ভাদ্র এল
সিক্ত নয়নে কতটা ভেলা দেখা হলো
বাবা, তুমি তো আর এলে না ফিরে।
খোকা বলে ডাকতে যাকে
এসে দেখো খোকা আজ কতটা বড় হয়েছে
অনেকটাকাল কেউ ডাকে না খোকা
বাবা আমার একটিবার ফিরে আসো না
খুঁজতে হবে না আমায় আর এখানে-ওখানে
এইতো দিচ্ছি কথা কোথাও যাব না তোমায় না কয়ে
খোকা আমি থাকব তোমার পাশে -পাশে
বাবা আমার একটিবার আসো না ফিরে।।
সেইবার কালবৈশাখীর ঝড়ে কুড়িয়েছিলাম আম
মরতে মরতে বেঁচে ফিরেছি ছিলে তুমি তাই
আর আমি যাই না আম কুড়োতে বড্ড ভয় পায়
বিপদে মোরে কে ত্রাণ করিবে? তুমি যে পাশে নাই
পুতুল নাচের খেলা থেকে এনে দিয়েছিলে ঘোড়া
আজও আছে ঝুপরির মধ্যে যত্ন করি সারাবেলা
বাবা, তুমি কতটা দূর গিয়েছ চলে?
ঘোড়া কি আমায় পারবে তোমার কাছে নিয়ে যেতে।
তোমার দেওয়া আরেকটি জিনিস আছে ;
আমার কাছে লাল রংয়ের একটি টিয়ে;
ও তো কথা কয় না, থাকে চুপটি করে ;
কতবার বলেছি বাবাকে দাও এনে।
বাবা তুমি একটিবার আসো ফিরে
আমি আর কইব না তোমায় মিছে।
বৈশাখের ঐ মেলায় নিয়ে যেতে পলাশপুরে
তুমি গেলে চলে তার পর কত বৈশাখ গেল পার হয়ে
আর আমার যাওয়া হয় নি ঐ পলাশপুরে
কথা দাও আগাম বৈশাখে যাবে সেথায় নিয়ে।
বাবা তুমি কোথায় আছো লুকিয়ে নীরব অভিমানে
খুব কি কষ্ট পেয়েছ আমার আচরণে
এইতো খোকা দিচ্ছি কথা থাকব লক্ষীটি হয়ে
বাবা তুমি একটিবার আসো না ফিরে।