না পেয়েও পেলাম তোমায়
যাপিত প্রতিটি প্রহরে।
না দেখেও দেখলাম তোমায়
আলো-আঁধারির নিত্য বহরে।
প্রভাতের রবি যেন তোমার করুণ হাঁসি!
ঘুম ভেঙে তাই উঠে বাজায় বাঁশি।
বেলা পেরোয় তুমি যাও কেবল সরে
প্রেমানল বুকের মাঝের হিয়া যায় পুড়ে।
আঁখির সলিল সরোবরে তুমি আছে হয়ে পদ্ম
গান লিখি, কবিতা লিখি হেথায় পায় ছন্দ।
নির্বাক মধ্যহ্নে জীবন দীপন করে নিভৃত বেদনা
হিমচাপার খুশবো যেন তোমার স্নিগ্ধ চুলের রসনা।
অচল অঙ্গনা তুমি যামিনীর ধবল জোছনা
কাছে থেকেও দূরে আছো কী নিদারুণ যাতনা!
তুমি আছো ধ্রুব বন্ধু অনিলের হিয়ায়
তুমি রবে চিরকাল বঁধু গোধূলির মায়ায়।
নয়নে বেঁধেছি তোমায় রেখেছি হৃদয়ের গোপনে
স্বপনে পাই তোমায়, পাইনে তোমায় শয়নে।
হঠাৎ কেমন চমকে উঠি নিটোল জলের পরশে
এইতো বুঝি পেলাম তোমায় কায়া কাঁপে হরষে।
সুরেলা বাঁশির সুর যে তুমি ওগো অন্তর্যামী
তোমার আবেশিত সুরে আঁকি শব্দের ছবি।
তোমারে চিনে আমি চিনেছি ভালোবাসা কারে কয়
আড়ালে-আবডালে থাকলেও তা অমর - অক্ষয়।।
স্মরণ পাড়ের বন্ধু ওগো! বিদায় পাড়ের প্রিয়
অপেক্ষার শত প্রহর গুণে হবো না আমি ম্রিয়।
তুমি ছিলে, তুমি আছো, তুমি রবে মনে
বিহগ বাঁশি টুটবে যেদিন মিলব তোমার সনে।
তুমি আছো দিগন্ত বিস্তৃত প্রসারিত নীলে
তুমি রবে অনন্ত-অসীম অক্ষয় দিলে।
হৃদয়ে তুমি দিলে গো ধরা! বাহিরে কেন অধরা
কবির কবিতা হয়ে এসো কাছে অন্তরের অন্তরা।।