এক কুলাঙ্গার প্রজন্ম, যারা
রঙে সঙে নৃত্যে,
মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে,
হাতুড়ি দিয়েছে তুলে

কার হাতে?

নন্দলালের মত এদেশের তরে
ডাইনীর মতো কাঁদে সুরে সুরে

হায়, মনটা যে তার যায়,
বসিয়া মানিক মিয়ায়
শাহাবাগে ছুটে... হায়রে হায়
দেখো কুলাঙ্গারেরা ফেলফেলিয়ে চায়
দেখো সোনার তরী ভরিয়া রবীন্দ্রনাথ ভায়
শাহবাগের ফসল তুলিয়া কলিকাতা লইয়া যায়...

আজি জিজ্ঞাসী রবীন্দ্রনাথ ভায়ে
মুক্তিযুদ্ধ তবে কী?
ভিটে মাটি বন্ধকী?

রবীন্দ্রনাথ সুধায়,
প্রান যে বাঁচিয়েছি চেতনার সনে (৭১)
কোথায় যাবে মাগী?
তা ন'ত কি?
হবে বলো জোড়াসাঁকোর নর্তকী?

রাত দুপুরে বাইজী, ওপারের মোহিনী
দিনে সমুদ্র কন্যা, এপারের ডাইনী
নাই নাই কোনো অভিযোগ নাই
আমরা বাইজির ভরপোশে খাই

বুয়েট, ঢাবি, জবি, জাবি
ভীতু ভীতু কচি কচি মাথা সবি
এ বয়সে ডাইনীর কচি মাথায় সুখ
তাই আজি চেতনার দল দশভুজা লয়ে বাড়ায়েছে মুখ

দশভুজা নিয়ে সে মাথা নিতে আসে
জননীরা আমাদের আঁখিজলে ভাসে
কিন্তু কি, করবে কি, এই অমোঘ নিয়তি
খাদ্যজালে আমরা যত জাতি প্রজাতি

তবে ভাই, চলো একটিবার দাঁড়াই,
কেউ নন্দলাল, কেউবা হাতেম তাঈ
জানি মরবে তো সবাই
চলো মৃত্যুর আগে একটিবার দাঁড়াই।।


--------------------------
জোড়াসাঁকোর নর্তকী
--------------------------

কোনো এক কল্পিত জোড়াসাঁকোর নর্তকী কে নিয়ে এই কবিতা। চিত্র মনের মত এঁকে নেয়া পাঠকের কাজ, আমিতো এক ক্ষুদে, হাতুড়ে কবি। আমিও খাদ্য চক্রের উরধে না। আমি ক্ষেপ যাবো অচিরেই। কিন্তু তথাপিও, আমি একবার দাঁড়াই সেই ডাইনী, বাইজি সেই জাতিখেকো জোড়াসাঁকোর নর্তকীর সামনে।