আমি সেই রতন
যার জন্য সকল পাঠকের পড়েছিল দীর্ঘশ্বাস।
আর আমার চোখ দিয়ে উথাল পাথাল করেছিল অশ্রু,
চলে যাওয়ার পথে দিতে চেয়েছিলাম পা ।
কিন্তু দাদাবাবু তুমি আমার পায়ে দিলে দড়ি পরিয়ে।
মন শান্ত করার জন্য বলেছিলে মনে মনে
"জীবনে এমন কত বিচ্ছেদ ,কত মৃত্যু আছে ,
ফিরিয়ে ফল কী। পৃথিবীতে কে কাহার।"
তোমার শেখানো স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ দিয়ে শব্দ বানিয়ে
লিখছি ২৭ বছর পর এই প্রথম একখান চিঠি।
পথের দিকে তাকিয়ে থাকতাম তুমি যদি ফিরে আসো
তোমার বদলে আসল এক নতুন পোস্টমাস্টার।
নতুন এক দাদাবাবু বড্ড ভালোমানুষ জানো।
সেই দাদাবাবু কে করলাম সেবা।
কিন্তু ভালোবাসলাম না।
পড়াশোনা করতে চাইনি একপ্রকার জোর করে আমাকে পড়াশোনা শেখালো।
তার আসল বদলির সময়,
স্থান পরিবর্তনের মতো তার মন পরিবর্তন হয়নি।
আমিও আবার দ্বিতীয় বার পরলাম প্রেমে।
এখন আমি একজনের স্ত্রী।
ভালোবাসাহীন নারী কে ভালোবাসার রাণী করে রেখেছে।
পড়াশোনা করে এখন আমি অ্যাডভোকেট মৃদু।
আজ তোমার সাথে দেখা হল ২৭ বছর পর কোর্টে ,
তোমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ।
পলাশ পত্রিকাতে প্রকাশিত