কখন তুমি কী যে বল;
সবই উল্টোকথা,
ভেবে চিন্তে পাই না হদিশ;
বুঝি না যথার্থতা।
ভীষণ করেই বিষম খাচ্ছি;
মিলে না যে কূল পাড়,
মিল অমিলের দোলাচলে;
পাই না ছন্দ তার।
উল্টোকথা উল্টোই লাগে;
বুঝে গেছি অনেক আগে,
সয়ে সয়ে তবু এখন;
প্রতিবাদের ইচ্ছে জাগে।
প্রতিবাদই করছি আমি;
কথার ফাঁকে কথা রেখে,
শব্দ দিয়ে ভাবকে কেন;
নিছক রাখ রেখেঢেকে?
উল্টোই যদি চল তবে;
ভাটির টানে এলে কেন?
বৈরী করে সব ভাবনা;
উল্টো পথে যেও যেন।
প্রতিবাদই করছি আমি;
এমন উল্টো ব্যবহারে,
স্তম্ভিত হই সেই আমি এই;
উল্টো শব্দের সমাহারে।
প্রতিবাদে সামিল হলাম;
পেরিয়ে এসে অনেক পথ,
এখন দেখি উল্টো আমি;
উল্টো পথে চালাই রথ।
যৎসামান্য সময় হাতে;
ফিরে যাবো ঘুরিয়ে মোড়,
সামনে জানি বাঁকা পথ;
আছে আরো বিপদ ঘোর।
ঘুরে দাঁড়াই এবার আমি;
যদি পথ যেতে পারি,
নিজের সাথে লড়াই করে;
এ ঘোর পথ দেব পাড়ি।
উল্টোকথার উল্টো শব্দ;
উল্টোই তার ভাবার্থ,
শব্দেরা সব ফিরেই যেত;
যদি তারা তা পারতো।
অনেক হল। আর নয় আর;
এমন ভাবের মেলাতে,
নিজেকে নয় ছেড়ে দিতে;
উল্টো কথার খেলাতে।
চাইনে আমি উজাড় হতে;
সর্বস্ব হারিয়ে,
অনেক দূরেই চলে এলাম;
অনেকটা পথ ছাড়িয়ে।
দুহাত তুলে দিগম্বর এই;
শব্দের সব পোশাকে,
ঢাকতেই চাই এই অবেলায়;
আপন ভেবেই আমাকে।
নিজের স্বজন নিজেই আমি;
বাকি সবই দেখি পর,
নিজের হাতে নিজেই গড়ি;
নিজের মত শব্দঘর।
উল্টোকথার জগত কেমন;
বুঝে গেছি সবই তার,
আপন-পরের লাভ ক্ষতি;
মিলানোই বড় ভার।
যোগবিয়োগ ও পূরণ ভাগের;
সরল অংক কষি তাই,
উল্টো শব্দের অভিধানে;
পৃষ্ঠা খুঁজতে বসি তাই।
নিজেই হই মগ্ন আমি;
নিজের গড়া জগতে,
শব্দ দিয়ে শব্দ গাঁথি;
আমার প্রিয় জগত এ।
উল্টো কথার ঘাতক-কাঁটা;
মনের কোণে বাড়ে সে,
আঘাত হানে অবিরত;
বুঝি এটাই পারে সে।
রক্তরাঙা করে মন;
অনুভবের শিখরে,
সেই কাঁটা ধায় শরীরময়;
অস্তিত্বের শিকড়ে।
বুঝি এখন সবই বুঝি;
উল্টোকথার ধরণ এই,
তুমি নিজের সুখ খোঁজো;
আমার অকাল মরণেই।
ভালো। ভালো। সবই ভালো;
সবই নিজের করতে,
আমার চেয়েও বেশি তুমি;
থাকো বেঁচেবর্তে।
উল্টোকথার সার কথা এই;
বুঝি পরিশেষে,
আমাকেই মারলে তুমি;
আমায় ভালোবেসে!