আমি দেখি রঙিন স্বপ্ন অনাবিল। আকাশের জানালা খু’লে
দূরে কোথাও সাদা মেঘে ভর ক’রে; দিনান্তের দিগন্ত পরে
পাখা মেলে উড়ে যায় শেষ বেলার ক্লান্ত সমস্ত বলাকারা।
নিচে প’ড়ে থাকে যত গোধূলিময় ভগ্ন স্বপ্নের পলেস্তরা।
আমি জানি। যেদিন তুমি উদাত্ত সুরে গাইবে, ‘আমার বেলা
যে যায় সাঁঝ-বেলাতে...।’ মুগ্ধ এই আমি তাকিয়ে রইবো আর
তোমার দু’চোখের পাতায় দেখবো কালবেলার ধুপছায়া।
তোমার দৃষ্টিতে আমার দৃষ্টি রেখে আগলে রাখবো তোমাকে।
হয়তো আমি অক্লান্ত স্বপ্নচারী ব’লেই কখনও ভাবি না,
স্বপ্নবিহীন কোন দিন, কোন রাত। গভীর নিশিথে যখন
ঘুম ভেঙ্গে যায়। আমি নীরবে গিয়ে দাঁড়াই বাইরের ওই
খোলা জানালায়। তুমি তখন যে কোথায়, কী করছো? আমার
মত ঘুম ভাঙ্গার ক্লান্তি নিয়ে তুমিও দাঁড়াও এমন ক’রে?
তোমার দু’চোখে কি স্বপ্নেরা দ্যুতি খেলে অনবরত? আমাকে
সেই স্বপ্ন দেখাবে ব’লে তুমি এসে দাঁড়াও। উদ্দেশ্য তোমার,
আমার দৃষ্টিতে তোমার দৃষ্টি রেখে আগলে রাখবে আমাকে।
আমি তাকিয়ে থাকি নির্নিমেষ দৃষ্টিতে শুধু তোমাকে দেখবো
ব’লে। তোমার দু’চোখের ব্যাপক আলোয় আমি দেখি শুধুই;
অগণিত স্বপ্নেরা খেলে যায় দূর দিগন্তে। কবি আমি দেখি।
শুধুই দেখি। তোমার চোখে আমার চোখ রেখে অবাক হই।
শুধু স্বপ্ন আর অনন্ত স্বপ্ন! আমি এক বিমুগ্ধ স্বপ্নচারী
আমার কাব্যদৃষ্টি নিয়ে অনন্তকাল শুধু তোমাকেই দেখি।