বিষধর গোখরার মতো ইনিয়ে বিনিয়ে
আগুন এগিয়ে যায় সব দিকে।
কেউ টের পায় না। টের পাওয়ার কথা নয়।
কারণ আগুন তখনও তার উত্তাপ
রেখেছে সংগোপন।
আগুন খুঁজে ফিরে কাগজ। জামা-কাপড়।
কাঠ। প্লাস্টিক। ইত্যাদি দাহ্য বস্তু সামগ্রী।
তারপর আগুন প্রচণ্ড ক্ষুধা নিয়ে
ব্যাপক তাণ্ডবে মত্ত হতে
বাতাশকে করে কামনা।
বাতাশ তার চাই। বাইরের মুক্ত
একেবারে খাঁটি বাতাশ।
ওদিকে জানালার কপাট ছিল যে কয়টা
ধূমধাম শব্দে সবগুলোই হা হয়ে গেল।
এদিকে হুমড়ি খেয়ে পড়ে বিশুদ্ধ বাতাশ
আগুনের সাথে করে সাক্ষাৎ।
এদিকে আগুনও বাতাশকে ক’রে নেয় আলিঙ্গন।
তাই, আর কি পারে কোন কিছু
এই শৃঙ্গামত্ত আগুণকে প্রতিরোধ করে?
আগুন তার লেলিহান শিখায়
সবকিছুকে গিলে ফেলতে উদ্যত হয়।
গিলে ফেলতে ফেলতে
আগুন এগিয়ে যায়।
না কাগজ। না জামা-কাপড়।
না কাঠ। না প্লাস্টিক ইত্যাদি।
কোন কিছুই আগুন স্পর্শ করে না।
আর চারদিকে আগুনের উদ্যত শিখা
উন্মত্ত হয়ে এগিয়ে চলে। চলতেই থাকে।
পরের দিনের দৈনিকের প্রথম পাতায়
সংবাদের প্রধান শিরোনাম,
গত রাতে গোখরা আগুনের গ্রাসে
অগণিত স্বপ্ন পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে!
স্বপ্নরা সবাই ছিল ঘুমে।
কোন স্বপ্নকেই আলাদা করে
চেনার উপায় নেই!
এদিকে নগর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছেন,
সবগুলো নিহত স্বপ্নের ডি,এন,এ পরীক্ষা হবে।
সুরতহাল রিপোর্ট হবে।
পরিশেষে নগরবাসী সকলের প্রশ্ন,
কিন্তু ওই গোখরা আগুনের কী হবে?