আর কত রক্তপাত? প্রাণহানি?
আর কত মূল্যবান সম্পদ ধ্বংস?
এ তো নয় বিদেশী বেনিয়াদের বিরুদ্ধে
নিজেদেরকে, দেশকে রক্ষার যুদ্ধ!

একই দেশমাতৃকার সন্তান আমরা সবাই।  
আমাদের মাঝে হতে পারে মতভেদ।
সকলে আমরা বিদ্বেষ ভুলে;
এ সময় এগিয়ে আসি,
সমবেত হই একই পতাকাতলে।
নিজেদের ভুল যত স্বীকার করি;
অযোগ্যতার কথা তুলে ধরি পরস্পর,
একই সামিয়ানার নিচে ব’সে ভাব করি বিনিময়।

কথা বলি প্রাণ খুলে।
আমাদের কাঁধে ভর ক’রে কারা;
পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে? ফসল তুলতে চেয়েছে
নিজেদের গোলায়। চিহ্নিত করি তাদের।
নিয়ে আসি সঠিক বিচারের কাঠামোয়।
সময় ক্ষেপণ আর নয়!

আর নয় ভুল পথে বিচরণ।
যা কিছু হারিয়েছি পরস্পর,
তা তো পাবো না ফিরে আর!
তাই দেখতে চাই না আর,
হারানোর নারকীয় উৎসব!
এই বীভৎস চিত্র!

আর নয় এই দেশে রক্তের হোলি খেলা
আর নয়, ছেলেহারা মায়ের আহাজারি!
স্বামীহারা গৃহবধূর আর্তনাদ!
পিতাহারা সন্তানের কান্না!
আর নয় ধ্বংসস্তুপের নিচে লুকিয়ে
সমাগত মৃত্যুর অপেক্ষা!

দৃপ্তপদে এগিয়ে আসি সকলেই
দেশকে রক্ষা করবো ব’লে
এবার নতুন শপথে হই প্রদীপ্ত।
আর নয় ছুটে চলা আঁধারে ঘেরা মৃত্যু-উপত্যকায়!
এসো, সবাই উঠে দাঁড়াই। এগিয়ে আসি আমরা
এক শ্যামল-সমতটে। সোনালি শস্য ঘেরা প্রান্তরে।

সময় এসেছে আমাদের
সময় এখনই আমাদের এগিয়ে আসার
একই লাল-সবুজ পতাকা তলে দাঁড়িয়ে
একই শপথে বলিয়ান হয়ে
হাতে হাত; কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে
শুধুই সামনে এগিয়ে যাওয়ার
সময় এসেছে আমাদের। এই তো সুবর্ণ সময়
নতুন প্রত্যয়ে আমাদের সোনার দেশকে গড়ার।