মাগো, কুড়ানো খাবার; কত খাবো আর;
র’ব কতকাল; রাস্তায় প’ড়ে;
জীর্ণ–শীর্ণ; বুকের ক’টা হাড়,
পারি না মা; আর রাখতে ধ’রে।
কতদিন আর; করবো ভিক্ষা;
সইবো কত আর; ক্ষুধার জ্বালা;
তোমার সন্তানে; দিলে এ শিক্ষা,
জ’ন্মেই হাতে; ধরবে থালা?
দু’চোখেই দেখি আঁধার মাগো; কোন দিকে নেই আলো;
পথের পাশে আমরা যে মা; নাম হারা সব হাজার ফুল;
কেউ তো মোদের হাতে তু’লে; বাসেনি মা একটু ভালো,
তোমার কোলে জন্মেছি ব’লে; এই কি পাচ্ছি তার মাশুল?
মাঘের শীতে হায়; কত কাঁদি মা;
প’ড়ে থাকি পথে রোগ, অনাহারে;
কেউতো মোদের; দেয় না জামা,
আসে না তো কেউ; মোদের ধারে।
পাশ দিয়ে হায় কতো শিশুরা; বিদ্যালয়ে যায়;
কত রঙের জামা তাদের; ফুলের মতো সুন্দর জীবন;
ওদের মতো হাসতে খেলতে; মোদের যে মন চায়,
‘ভিক্ষুক জীবন’ না দিয়ে মা; দাওনি কেন সুখের মরণ!
ওরা মানুষ, আমরাও মানুষ; তবে কেন কাঁদি মোরা?
লেখা-পড়া শিখে ওরা; হবে জ্ঞানী-গুণীজন,
রাস্তায় প’ড়ে কাঁদি মাগো; আমরা ভিক্ষুক দেশ জোড়া,
ওদের বাসি-পান্তা-পচা; আমরা করি ভক্ষণ।
মোদের জ্বালা-শোক-দুঃখ; কেউ তো দেখে না আর;
আমরা যদি মানুষ হতাম; মরতাম না আর পলে পলে;
মোদের জন্য ঔষধ নেই মা; ডাক্তার নেই চিকিৎসার,
নেই তো কোন আশা মাগো; তাই ভাসি আজ চোখের জলে।।