আকাশে বিস্তর জমাট মেঘ।
কোত্থেকে উড়ে এসে;
কালো মেঘ জমাট বাঁধল!  
উপরে ঠাণ্ডা বাতাশ।
তার প্রবাহও বেশ।
কিন্তু, দুর্বৃত্ত মেঘ তো সরে না।
সে বৃষ্টি হয়েও নীচে পড়ে না।
কেবল সূর্যটাকে ঢেকে
পুরো দেশটাকেই আঁধারে
ডুবিয়ে দিল!

দেশের মানুষ সকলেই
উদগ্রীব। আতংকে বিমর্ষ।
তাদের প্রশ্নঃ কাটবে কি এই আঁধার?
উপরের মেঘ কি স’রে যাবে?
উড়ে যাবে অন্য কোথাও?
অথবা, প’ড়ে যাবে বৃষ্টি হয়ে;
এই দেশের মাটিতে?
দেশটাও শীতল হবে?

না। তার কিছুই হয়নি।
তাই মানুষ সকলেই তটস্থ।
না জানি কী হয়; শেষ পর্যন্ত!
কখন হবে; এই দুঃসময়ের শেষ!

তারপর। এবং তারপর।
হঠাৎ ঝড় উঠল। সাথে প্রবল ঘূর্ণি।
কোত্থেকে এক প্রলয়ঙ্করী তুফান এসে
উপরের আঁধারকে ঠেলে, দুমড়ে
খন্ডিত-বিখন্ডিত ক’রে
আকাশের সীমান্তে পাঠিয়ে দিল।
এবং কিছু মেঘ বৃষ্টি হয়ে
নীচে নেমে আসল।

মানুষ তারা সকলেই বুঝে গেল,
এ তো নয় ঝড়! নয় তুফান!
তারা বুঝে গেল,
তাদের সকলের মনে
জমে থাকা মুক্তির ঊর্ধ্বশ্বাস
উপরের জমাট দুর্বৃত্ত মেঘে
আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ব্যাস। তাতেই হয়েছে কাজ!

মেঘ কেটে গিয়েছে।
আঁধারও কেটে গিয়েছে।
ছিনতাইকৃত সূর্যটা পরিশেষে
মুক্ত হয়ে; উচ্ছ্বাস নিয়ে উঠেছে হেসে।

তাই মানুষ সকলেই তাদের আকাঙ্ক্ষিত
অভ্যুত্থান পর্বে, নিজেদের সত্তাকে
সমর্পণ করে একাত্ম হয়ে গিয়েছে।
প্রশান্তির দীর্ঘশ্বাসে মগ্ন হয়ে
তারা এখন নিজেদের স্বপ্নের জমিন
বিনির্মাণে; বিভোর হয়ে আছে।

----------------------------------
মেরিল্যান্ড
ডিসেম্বর ১, ২০২৪