বঙ্গবন্ধু তুমি কোথায়?
তোমাকে খুঁজতে ব্যতিব্যস্ত সকলে আমরা
যাই বত্রিশ নম্বরের বাড়িতে!
ভিতরে ঢু’কে বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখি
সিঁড়ি ভাঙ্গা আয়তনে ছোপ ছোপ রক্ত !
এমনকি উপরের সিলিঙে ! পাশের দেয়ালে
মাথার বিক্ষিপ্ত মগজের সাথে তাজা চুল লেপ্টে রয়েছে!
মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তোমার পুরনো চটি জোড়া
রেশমি চুড়ির টুকরো। নববধূদের মেহেদী হাত।
একজন মমতাময়ী মায়ের রক্তাক্ত নিথর দেহ।
পাশেই ছোট্ট রাশেল! হায় রাশেল!
বাঙলাদেশের সোনালি ধানখেতে
সহসা জলপাই ট্যাঙ্ক হামলে পড়ে।
সহসাই তারা দানবীয় উল্লাসে স-ব লোপাট ক’রে নেয়।
কী মর্মন্তুদ! তোমার প্রিয় সোনার বাঙলা
আজ এমনই বধ্যভূমি হয়ে উঠেছে।
এখানে হায়েনারা দাঁত কেলিয়ে উদ্ধত থাবা উড়ায়।
বঙ্গবন্ধু তুমি কোথায়?
তোমার অবর্তমানে দেখ, তোমার সোনার বাঙলা
কেমন বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে!
হিংস্র শকুনের ছায়ার নিচে
অশুভ বিস্তারে ঢেকে রয়েছে তোমার পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ...
যে মুক্তিযোদ্ধা তোমার ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রণাঙ্গনে
আজ সে শীর্ণ দেহে রিকশা টানে।
ক্ষুধার্ত শরীরে মানুষের দুয়ারে ভিক্ষুক হয়ে দাঁড়ায়।
এ কি তোমার স্বপ্নের সোনার বাঙলা?
তুমি এসো বঙ্গবন্ধু।
আবার তোমার কণ্ঠে ধ্বনিত হোক,
‘এ দেশের মানুষ বাঁচতে চায় ... ... ...’
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
হে পিতা! আমরা আছি জেগে
কেবলই তোমার অপেক্ষায়।
তুমি এসো। তোমার সোনার বাঙলাদেশে!
এসো বঙ্গবন্ধু তোমার স্বপ্নের বাঙলাদেশে!