আমি এক জীব বাঁচার প্রচন্ড দাবি নিয়ে,
উন্মত্ত আকাঙ্ক্ষার তাড়নায় ছুটে বেড়াই নিয়ত।
সংগ্রামে লিপ্ত আজন্ম স্বাধীকার ব্যর্থতার গ্রাসে
নিমজ্জিত, জীবন্মৃত প্রায়। মনে হয় আমি জীবন সায়াহ্নে
কখনও কখনও টুকরো আশা জ্বলে ওঠে বুকে,
দুর্বল বাহুতে রক্ত ওঠে দুলে – নিঃসীম শক্তিতে
আমি এক জীবন্ত মানুষ হয়ে উঠি – একাগ্র সাধনা নিয়ে
তখন বুঝি না পরাভব – মৃত্যু, কেবলই বিজয়ের জন্য আমি।

আমি হাহাকারের কিংবা আত্মবিলাসের ঘোর বিরোধী।
হয়ে উঠি মর্যাদাশীল ব্যক্তিত্ব, পূর্ণযৌবনে।
দু’বাহুতে সবই যেন আঁকড়ে ধরি বুকে, তুলে নিই বুকে।
ভালোবাসি তাবৎ জীব ও জীবনকে। নিজের হয়ে আমি
অসহায় দুঃখীকে দেই সান্ত্বনা । অন্ধকে দেখাই পথ।
রচি নিজ হাতে শান্তির স্বর্গ ধূলির পৃথিবীতে।

কখনও কখনও একান্ত আপনকে মনে হয় ঘোর বিরোধী।
ঘোর প্রতিপক্ষ। গোটা পৃথিবীর সমস্ত মানুষ,
আমি যখন খুব হিংস্র হই তখন প্রাণ দিয়ে ঘৃণা করি সব।
আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ি নিজের তাগিদ নিয়ে প্রচন্ড,
এবং বার বার মনে হয় পৃথিবীর বাইরে ছিটকে পড়ি!
কেন যেন মনে হয়, আমি কেবল একা জীবন সায়াহ্নে
এবং তীব্র হতাশা ও আত্মদহনে জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে
আত্নঘাতী হই। নিজেকে মনে হয় অসহ্য। করি ঘৃণা অসম্ভব!
জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে তাই সবকিছু বাস্তবে করি শেষ।
এবং অসংখ্য আত্মঘাতকের দলে শরীক হয়ে মিশে যাই।