এক টুকরো নিঃশব্দের চাঁদ দেখি ঝুল বারান্দায়
আমি এখনও দাঁড়িয়ে আছি ঠায়।
পেট্রোলিয়ামজেলের মতো খন্ডিত জ্যোৎস্না
যেখানে ছড়ায় সেখানেই লেপ্টে থাকে তার আবেশ!

এখন কার্নিশের ঝু’লে পড়া পঙক্তিগুলো এলোমেলো
বাতাশে দোল খায়। ওখানেও জ্যোৎস্না!
কাছেই হাতলবিহীন প্রাগৈতিহাসিক চেয়ারটা
খালি প’ড়ে আছে। দেখি; তার পরতে পরতেও সেই চাঁদ!

কবি হবার উদগ্র বাসনা নিয়ে মনে
এক প্রকার সন্ন্যাসী হয়েই ছুটে যাই- চাঁদনির্বাসনে।
হৃদয়ে কবিতার উত্তাল ঢেউ!
ক্লীবসময় সবকিছু যেমন অসাড় ক’রে নেয়
আমার উচ্চারিত ইচ্ছের চাঁদ
বাইরের সবই তেমন নিথর ক’রে দিয়েছে!
ওখানে কি উপমা, উৎপ্রেক্ষা, চিত্রকল্প,
শব্দ, ছন্দ আর কিছুই নেই?

নিঃশব্দের ওই চাঁদ আমাকে
রাতজাগা টিকটিকি ক’রেই ছাড়বে দেখছি!
দেখিনা, ওই চাঁদ যায় কতদূর!
দেখিনা, এই আমাকে নিয়ে যায় আর কত উচ্চতায়