আমার জীবনটা চলমান কফিন এক।
বার বার অনবরত এখানে পেরেকের উপর
হাতুড়ির নির্মম ঘা’ পড়ছে তো পড়ছেই!
এ চলমান কফিনে আমার কী নেই!
যত দর্প! অহংকার! পরিতৃপ্তির ঢেকুর! স্বপ্ন! সাধনা!
আবার আফসোসও! সাথে হাহাকার!
বুক চাপা কান্না! গোঁজামিল এ সমুদয়
বাক্সবন্দী হয়ে সেঁধে রয়েছে
আমার দেহটা। হৃদয়টা। আর মনটা। সমস্ত কিছু
কফিনটা যখন যেখানে যায়
স্থাবর অস্থাবর এ সমস্ত কিছুই
আমার অস্তিত্বের শেকড়-মূলে লেপ্টেই থাকে।
আর চলমান কফিনটা লেগেই থাকে আমার পিছু।
আমি নিশ্চিত। আমার জীবনটা এক চলমান কফিনই বটে।
আমি বলবো না, এটা একটা রঙিন বৃতিময় পুষ্প।
আমি বলবো না, এ এক চঞ্চলা ঝর্ণার গতিময় ধারা।
তবে স্থবির নয় এ কফিন আপাতত।
যতদিন বেঁচে বর্তে আছি আমি,
আমার সাথে সচল হয়ে আছে আমার অস্তিত্বের এ কফিন।
যতক্ষণ না শেষ পেরেকের চৌকস হিংস্রতা
সমূলে বিদ্ধ হচ্ছে নিপাতনে সিদ্ধ আমার এ কফিনের শরীরে।
ততক্ষণ আমি চলছি। আর আমার সাথে চলছে
একটি প্রাগৈতিহাসিক কফিন আমার!