বিদেহী হওয়ার মগ্নতা
আমাকে ঢেকে রাখে সর্বক্ষণ।
যেমন পূর্ণগ্রাসে
গভীর ছায়াতলে
ঢাকা প’ড়ে যায় সূর্য।
কী এক অদৃশ্য বেদনা
তেমনই আমি স্পষ্ট টের পাই!
কখনও সব কিছু ঝেড়ে আমি
উঠে দাঁড়াতে চাই আবার।
পারি না। আমার চোখ,
আমার ঠোঁট, আমার আঙ্গুল
সব কিছুই বিদ্রোহী হয়ে ওঠে।

কিন্তু আমি বিশ্বাসে
বলিয়ান হ’তে পারি না।
অতি ক্লেশে আমাকে আমি আবিষ্কার করি
ক্লেদাক্ত অলৌকিক নর্দমায়!
কবে কখন আমার ‘আমি’কে
পিছনে ফেলে একেবারে
এই এখানে দাঁড়িয়েছি এসে!
কোথায় আমার জগত! আমার স্বজন!
সকলে কি আমাকে মৃত ভেবে
মাটি চাপা দিয়ে ফেলেছে ইতোমধ্যে?

আমি আবার চোখ মেলে তাকাই।
ঠোঁট নেড়ে বলতে চাই কিছু।
জড়তা ভেঙ্গে আঙ্গুল নাড়ি ইতস্ততঃ।
আশ্চর্য! আমার বিদেহী অবয়ব
ছাড়তে চায়না আর! ছাড়তেই চায় না!
তাই ঠায় আমি দাঁড়িয়ে থাকি।
বিদেহী হওয়ার মগ্নতা সমেত।
আবার যদি কখনও ফিরে যেতে পারি-
আমার জগতের আর
আমার স্বজনের মায়াবী চত্বরে!