বেভুল! বেভুল! দে দোল,
গাছে ঝোলে রাঙ্গা তেতুল।
তেতুল পাতার ফাঁকে ফাঁকে,
আড়াল করি সূর্যটাকে।
সূর্যিমামার তেজ যে বড়,
সবাই তারে ধরো! ধরো!
চিকন চিকন বাঁশের পাতায়
শিরশিরিয়ে বাতাস মাতায়।
সেই বাতাসে একূল ওকূল,
গন্ধে নাচে আমের মুকুল।
বেভুল বেভুল!
দে দোল! দে দোল!
বেভুল বেভুল! দে দোল! দে দোল!
খুকুমণি চোখ দুটো খোল।
চোখের পাতায় কাজল রেখা,
দৃষ্টিতে তোর চিঠি লেখা।
সেই চিঠিতে অনেক ভাষা,
নেই ক্ষুধা তোর। নেই পিপাসা।
চোখ খুলে দেখ। চোখ খুলে দেখ,
কোত্থেকে যে রাজকুমার এক!
সেই কুমার যে নতুন সাজে,
উড়ে এলো পঙ্খীরাজে।
দূর বিদেশে তার ঠিকানা,
উড়ে যেতে নেই যে মানা।
বেভুল! বেভুল! করিসনে ভুল,
বাগান জুড়ে কতো যে ফুল।
খুকুমণি চোখ দু’টো খোল,
তুলতুলে তুই রঙিন পুতুল।
বন্ধ ঘরের দরজাটা খোল,
আকাশটাকে দু'হাতে তোল।
বেভুল! বেভুল! সোনার পুতুল,
যত পারিস দে দোল! দে দোল!