এখনও মাঝে মাঝে যখন আমাদের বাড়িটা
একটা ঘুমন্ত টুঙ্গিপাড়া হয়ে ওঠে-
কফিন শুদ্ধ জেগে ওঠে বীভৎস রাতগুলো
ঠিক কালো আকাশটার নিচেই দেখি
সেই ইতিহাস, আমাদের বাড়ির সন্নিকটে।
ঘুমকাতর চোখে আমরা সকলেই দাঁড়াই এসে
বাবা মা পরিজন শুদ্ধ পুরো গোষ্ঠীময় বাড়িটা!

এবং অত্যন্ত বিস্মিত হই – আতঙ্কের সাথে
চাপ চাপ রক্ত! আঙ্গুল! তামাকের পাইপ দেখে
রাত বেড়ে যায় প্রচন্ড অন্ধকার নিয়ে! বাতাশ ওঠে।
সিঁড়ি বেয়ে আরও নিচে নামি – পায় পায় সকলে
পিছন থেকে কে যেন ব’লে ওঠে – একটা মুজিব কোট!
এবং সঙ্গত বিস্ময়ে তাই দেখি – সত্যই মুজিব কোট!
আবার। একটা সাদা অত্যন্ত, পাঞ্জাবী।
এবং সঙ্গত বিস্ময়ে তাই দেখি – সত্যই পাঞ্জাবী!
সে আবার ব’লে ওঠে - চশমা। আমরা এগিয়ে যাই।
আবার ব’লে ওঠে – রাশেল ইত্যাদির লাশ!
পরম বিস্ময়ে আমরা দেখি – ঠিক ঠিক তাই!!

বাবা প্রেসার আক্রান্ত, বললেন – সকলে চল উপরে।
আর আমরা ঠিক ঘুরে দাঁড়াতেই –
পিছন থেকে যেন-
মেশিনগানের ব্রাশ ফায়ার অতর্কিতে, অনবরত!
আমরা সকলে টুকরো হয়ে গেলাম আর
বাবা মা পরিজন শুদ্ধ, পুরো গোষ্ঠীময় বাড়িটা
চিরদিনের মতো একটা ঘুমন্ত টুঙ্গিপাড়া হয়ে ওঠে।
এবং আমরাও সকলে -
মুজিব কোট, চশমা ইত্যাদি হয়ে উঠি।