আমায় একা পেয়ে একলা পথে
তুমি দাঁড়িয়েছিলে সামনে –
যেন বা কতো কালের জমানো কথামালা
একসাথে সব করবে নিবেদন।

কিন্তু! তুমি বলনি কথা!
কাঁপলো তোমার চোখের পাতা
ঠোঁট কাঁপলো। কপালে জমলো ঘাম।
আমি কি এমন তোমার?
একা যে পথ আগলে আমায় দাঁড়ালে!
ভাবছো বুঝি আগের আমি ঠিকই আছি?
ঠিক নেই গো! নদীর মতো বদলে গেছি।
আমার বুকের স্রোতধারায় তুমি ছিলে
ঠিকই ছিলে। এখন কিন্তু বন্যার পরে
স্থবির হয়ে একসাথে সব ঝিমিয়ে গেছে।

আমি কিন্তু আমিই  আছি।
উপরটা ঠিক আমার মতো
ভিতরে কিন্তু অন্য নদীর প্রবাল ঘোলা
ঢেউ খেলে। ঢেউ খেলে।

তাইতো পথে আমায় ভেবে থমকে দাঁড়ালে
ভিতরের আমিকে করাত দিয়ে
কেটেকুটে জতুগৃহ এক বানিয়েছি
এই হৃদয়ে নেই তুমি আর!
অনাবাসিক এক বাস করে সে ক্ষণস্থায়ী।
খুব বেশী সুখের বসে আগলে রাখে সে
তার ঠোঁট কাঁপে না আর ঘন ঘন
চোখের পাতায় ঘুম জড়ানো
বলীরেখা কপালে তার,
আমায় আগলে রাখে।
যদি তুমি সেই তুমি আবার এসে
ঝড়ের বেগে, বাউকুড়ালির মতো
নিয়ে পালাও আমার সব
সমূলে উড়িয়ে নিয়ে।