আমি এখন রক্তপাতের নিঃশব্দ আয়োজনে
নিজেকে রেখেছি মত্ত। জানি, আমার প্রয়োজনে
তোমার সমূহ বসতভিটা একেবারেই আমার হবে;
স্থাবর। অস্থাবর। জানালার কার্নিশ। কোথায় কবে
কা’র কাছে তুমি জমা রেখেছিলে। ওগুলো সব
কিছুই তোমার; এখন আমার। আমার উৎসব
হবে জমজমাট তোমার উঠানে। চৈতালি, বৈশাখী,
পৌষালি যা কিছু সব। তোমার প্রাঙ্গণের পাখি।
গাছ। গরু। বিচালি রেখে দল বেঁধে তারা
ঘ্রাণ নিবে আমার অনুবভের। স্বপ্নের কিনারা
ঝলসে উঠবে তখন নন্দিত-নরকের সব ক’টা কক্ষে।
তোমার শালপ্রাংশু শরীরের প্রদেশ আর রক্ষে
পাবে না কোন কান্নায়। জঠর তোমার জ্ব’লে
উঠবেই মুহূর্তে জমাটবাঁধা রক্তে। তাই ব’লে
মনে করো না এখানেই আমার কুসুম কলি
কবিতার স্তবক থেমে যাবে। আমি বলি
কি। যতই চিৎকারে মাতাও তোমার সময়।
আমার উৎসবকাল মুখরিত হবেই। না হয়,
আমি থাকবো না। তুমিই তখন নিজ হাতে
সেই সকাল থেকে প্রস্তুতি নিয়ে চাঁদময় রাতে
সাজাবে তোমার মাঙ্গলিক কালবেলার আসর
তবু জেনো। আমাকে ছাড়াই মুখরিত বাসর
হবে তোমার। আনন্দলোকের নান্দনিক রাত্রি বেলায়
চাঁদ ও প্রদীপের সহবাসে মাতবে তুমি খেলায়।