আমার সব মগ্নতাকে তুমি
ছাইচাপা দিয়ে কেড়ে নিয়েছ
সাথে, সবটুকু সময় যা ছিল আমার জমা।
কিছুতেই আমি তা ফিরিয়ে আনতে পারিনি।
না আমার মগ্নতা। না আমার সময়।
আর এখন কী সব অনাবশ্যক
মনস্তাপ নিয়েই কাটাই বিনিদ্র নিশিকাল।
বাইরে কী সুনসান চাঁদরাত একা পড়ে থাকে
বাঁশঝাড়ের আবডালে।
এ সময় কেউ ওখানে পা মাড়িয়েছে
আমার বিশ্বাস হয় না।
আমার বিশ্বাস হয় না তুমিও
এগিয়ে গিয়েছ ওদিকে।

বোধ করি এক্ষণে তুমি বাতি নিবিয়ে
মাথার নিচে অবসন্ন হাত রেখে
ঘুমের আড়ালেই চলে যেতে চাইছ।
আমার তো এখানেই কষ্ট।
বিনিদ্র প্রহর গুণে গুণে আমি যখন
একেবারেই নাজেহাল,
তুমি কী নিরাপদে রাতের আঁধারে
নিজেকে কর সমর্পণ! একান্ত সন্তর্পণে!
একবারও কি ভেবেছ এই আমার কথা?
ভেবেছ কি তোমার আমার স্বপ্নময়
সেই চাঁদরাতের কথা?

এমন সময় কবিতার পঙক্তি ছাড়া
রবীন্দ্রসংগীতের মূর্ছনা ছাড়া
কীভাবে কালের গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে!
তুমি ভেবেছ? ভেবেছ কি
এই আমি কীভাবে অনর্থক সময়ের করতলে
নিজেকে সঁপে দিয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছি?