এই মাত্র অত্যন্ত বিজ্ঞের মত ভেবে শুনে
আবার আমি –
পাঠিয়ে দিলাম ছেঁড়া, তালি, এবং কালিবিহিন
যথেচ্ছ ব্যবহৃত সেই আমার পুরনো জুতাজোড়া
উত্তরাধিকার সূত্রে কপালে জুটেছিল
বাপ-দাদার ঔপনিবেশিক আমলের সেই জুতাজোড়া।

এগুলোর সুখতলির নিচে
অনেকের সুখ বিসর্জন হয়েছে।
হাতী মারা, বাঘ মারা ইত্যকার সবই হয়েছে ওগুলোতে
শেষে গরিব মারা এই যেমন আমার হাতে!
এই যেমন পতিতাদের আঁস্তাকুড়ের সামনে
জুতা নিয়ে মাস্তান নষ্ট যুবকের মত দাঁড়িয়ে থাকা –
বিগত শতাব্দীর একেবারে শেষভাগে
মুরুব্বিদের সামনে জুতার আস্ফালন –
অনেক ভাবেই তো নাজেহাল হয়েছে সভ্যতা!

আপথে এই জুতার ছাপ
আমার পায়ের পড়েছে
বিপদে ঘোর হাতে নিয়ে ছুটেছি জুতা
প্রবল সহবাসের মুহূর্তে জুতা গড়াগড়ি খেয়েছে
মাথার নিচে। আবার মিনারে
এক হাতে জুতা অন্য হাতে ফুল নিয়ে
গিয়েছি শ্রদ্ধা ভ’রে।
এ সমস্তই  আমার স্বভাবের অন্তর্গত বিষয়।
তাই এই জুতাজোড়া আমি খামোখা রাখিনে
আর খামোখা এ গুলোকে বিদায় ও করিনে।
কিন্তু, এখন আমার স্বভাব পাল্টাতে চাই আমি।

চলে যা ভূতুড়ে জুতা তোরা যেখানে ইচ্ছে-
পাড়ায় যা-
পট্টিতে যা-
বিছানায় যা-!

ওরা যেন ছুঁড়ে মারে এ জুতাজোড়া
কোন নারীচাটা কবির কপালে!

যা-!