আমার ভিতরে এক কল্পতরু ক্রমশঃ মূল থেকে শিকড়ে,
বেড়ে ওঠে। বেড়ে ওঠে বরাবর আকাশের ত্রিসীমানার উপরে;
ডালপালা, পত্রাবলি ছড়িয়ে উদ্বাহু। কখনো উড়ে যেতে চায়,
মেঘ হয়ে শূন্যে। মহাশূন্যে। সব কিছু ছাড়িয়ে, জানান দেয় আমায়।
মৃত্তিকার সাথে তার সম্পর্ক বিলীন হতে থাকে। সে তো আমার ভিতরে,
আমাতেই তার বাস। অন্ধকারে। আলোতে। গরমে আর শীতে, সে তো
বেড়েই ওঠে কেবল। আমি জানি সে আমারই । শুধু আমারই মতো।
সত্তায়। ঘাতে। অভিঘাতে। মানে। অভিমানে। আমারই সাথে তার সমস্ত
সম্পর্ক। শিরায়। উপশিরায়। ধমনীতে। হৃদয়ে। তাই তাকে নিয়ে হই আশ্বস্ত ।
তাবৎ জগতের সাথে তার সম্পর্ক ছিন্ন ক'রে, সে তো আমাকেই আপন করে!
এখন স্বপ্নের ঘোর আমার ভেঙ্গে গেলে, সব কিছু নিস্তব্ধ। তাকিয়ে দেখি হায়,
আমার কল্পতরু নিরুদ্দেশ! কোথায় কোন অজানা কল্পলোকে ভর ক’রে পাখায়;
আমার সব কিছু নিয়ে। আমাকে নিঃস্ব ক’রে। স্বপ্নের কল্পতরু সব তছনছ ক’রে,
হারিয়ে গিয়েছে কোথায়! আবার কোথায় কা’র স্বপ্নলোকে। কা’র আলো-অন্ধকার ঘরে!!