(বন্ধুবর মার্শেল এ, গমেজকে)

আমাদের যা করার ছিলো
করতে পারিনি
অনেক ছিলো বলার
তবু বলতে পারিনি।
আমরা ঘরগোষ্ঠী বাঁচিয়ে রেখে
পথে পথে নামি
লোকে বলে আহা মরি!
আমরা বলি নামটাই দামী।

মনের যত দুঃখ জ্বালা
অনুভবের ছেঁড়া তারে
কাব্যরসে সিক্ত করি
পথে নামি বারে বারে।
তবু কেন নামা হয় না
সবকথা বলা হয় না। আর
কাজ করতে হোঁচট খেয়ে
হই পগার পার।

দিন চলে যায় দিনের গহীনে
কথা সবই রয়ে যায়
ধুঁকে ধুঁকে রোগীর মতো
দেহ মনের যন্ত্রণায়।

জীবনটাকে শেষ করা ছাড়া
থাকলো না কোন কাজ আর
লোকে সবাই চেয়ে আছে,
যাত্রা কোথায় কবে কার।
অথচ ঘর গোষ্ঠী সব ঠিকই আছে
আমরা বুঝি নি
তুমি বন্ধু আমি বন্ধু –
নিরাপত্তায় আশ্রিত হই
কী দিয়েছি কতোটুকু
আমি তুমি আমরা সবাই
লিখে যাবার কথা ছিলো
লিখে লিখে যাওয়াটাই
পড়ে থাকি শক্ত মনে
আমরা সব ছড়াছড়ি
তাকিয়ে দেখি আমাদের নাম নিয়ে
লোকে করে কাড়াকাড়ি!