দু’জন একই রোগশয্যায়।
এমনটি আগে কখনও হয়নি আর।
আমি আর স্মৃতি পাশাপাশি
জীবননদীর ঢেউ মেপে যাচ্ছি
মুখে যন্ত্রণার প্রলাপ। প্রবল জ্বরের ঘোরে
দু’জনই ছুটে যাচ্ছি। ছুটে যাচ্ছি।

পিছনে প’ড়ে রইলো স্থবির বিছানা,
আলমারি। বইপত্তর। রান্নাঘর। ঘটিবাটি। সব।
আমি আর স্মৃতি। একটি যুদ্ধের বৈরিতার মুখোমুখি
জলপট্টি সমেত উঠে দাঁড়াই।
দুটি সন্তান অনিশ্চিতের মতো।
মুখে তাদের ভাষা নেই। তবু যেন
তাদের প্রলম্বিত প্রশ্ন, এখনই কি
পালাতে হবে আমাদের?

আমরা ইচ্ছে ক’রে, পালিয়ে যাইনি। কারণ,
আমাদের একই রোগশয্যায় এলোমেলো
ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিস্তর স্বপ্নমালা।
ক্রমশঃ হাত বাড়িয়ে দেয়ার প্রবল অনুভূতি।
ভালো না লাগার অনেক জ্বালা।

আমরা অনেক তিমিরেই ডুবে যাই।
সহজে আর ভেসে উঠি না। আমাদের শ্বাস নেবার
কোনো প্রয়োজন পড়ে না। কারণ,
আমরা দু’জনই একই রোগশয্যায়।
অক্সিজেন বিহীন অন্য এক জগতে
নিয়তঃ নিঃশব্দের ব্রহ্মচারী হয়ে যাই।