আমরা আমাদের পায়ের উপর ভর করে
সামনের দিকে এগিয়ে যাই।
বস্তুতঃ আমাদের পথ
যেখানে আমাদের টেনে নিয়ে যায়
আমাদের গন্তব্য থাকে ব্যাপক বিক্ষিপ্ত. অনির্দিষ্ট।
সমূহ অনিশ্চতায়, লক্ষ্যহীনতায়
অবিরাম ভূগে ভূগে
শেষতক খড়কুটো আঁকড়ে
ডুবতে ডুবতে ভাসতে ভাসতে
এক প্রস্থ দূরত্ব অতিক্রম করে
হাঁপাতে হাঁপাতে শেষ দাগ অতিক্রম করি।

আর অতিক্রম করেই নিজেদের ছেড়ে দেই
ভাবি এইতো শেষ গন্তব্য।
আর কোথাও নেই কোনো সম্ভাবনা
আপাতত লক্ষ্যে পৌঁছে এসেছি
বলে হাল ছেড়ে, হাফ ছেড়ে
নিজেদের বাকিটা ছেড়ে দেই
সঁপে দেই ভবিতব্যের পদতলে।
সমর্পণ করি আমাদের
স্বপ্ন সাধ সাধ্য সাধনা সমস্ত কিছুই।

তারপর ভেবে আর দেখি না
আমরা কোথায় এসেছি।
এ যাত্রা একেবারেই আমাদের
লক্ষ্যের যাত্রা ছিল?
নাকি চলতে চলতে চলেই এলাম শেষে
বলে ভাগ্যের করতলে লুটোপুটি খেয়ে
তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে নিজেদের ভাবি
বিজয়ী হয়ে এসেছি লড়াকু যোদ্ধা বেশ
প্রাণপণ জীবনযুদ্ধে।
আহা! কী যুদ্ধ! কী বিজয়!
আর কী শান্তি!

প্রশান্তির ব্যাপক শীতল বাতাস সব দিকে!
এ যেন নরকের সীমান্ত পেরিয়ে রচনা করেছি
চিরশান্তির স্বর্গীয় উদ্যান।
‘আহা! শান্তি! শান্তি!’ ব’লে
মোলায়েম শয্যায় ছেড়ে দেই
আমাদের। সব দুঃখ। সব ক্লান্তি।
এবং সব বৈপরীত্য ভুলে
যা পেয়েছি! তাই হয়েছে পরম পাওয়া
ব’লে দীর্ঘ নিঃশ্বাস বুকে টেনে
আবার ছেড়ে দেই বুক ভরা স্বস্তির প্রশ্বাস
ব্যাপক সুখ অনুভব করে।