বঙ্গবন্ধু! আহা কী তেজদীপ্ত একটি শব্দ! একটি নাম।!
যাঁর সাথে জড়িয়ে আছে,
বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য
আর মুক্তিসংগ্রামের সদা বহমান স্রোতধারার ইতিহাস!

শেখ মুজিবর রহমান।
আহা কী মোহনীয় এই নাম!
বাংলার দুঃখি, দরিদ্র আর
বঞ্চিত মানুষের একমাত্র শেষ আশ্রয়।

বাংলার গণমানুষের পরম ভাগ্য।
ঊনিশ শত বিশ খ্রীষ্টাব্দের সতেরই মার্চ
তাদের জাতীয় জীবনে নতুন সূর্য,  
একটি সোনালি প্রভাত করেছিল রচনা ।

শেরে বাংলা। সূর্য সেন। সোহরাওয়ার্দী। ভাসানী।
ইতিহাসের বলয় পেরিয়ে,
স্থিত গতিতে তিনি অভিষিক্ত হন
বাংলার জনমানুষের অভিজ্ঞানে।

রবীন্দ্রনাথ। নজরুল। সুকান্ত। জীবনান্দ দাশ।
বাংলার পথ, ঘাট, প্রান্তর তাঁর দুরন্তপনায় ছিল সদা ছন্দময়!
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান!
তাঁদের আলোয়, তাঁদের কবিতায়
তিনি নিজেকে করেছেন পরিশীলিত।

বাংলার  গণমানুষের চরম দুর্ভাগ্য!
ঊনিশ শত পঁচাত্তর খ্রীষ্টাব্দের পনেরই আগস্ট
বাংলার আকাশ আবার কালো মেঘে ছেয়ে গেল!
প্রাণ সঞ্চারী ঝলমলে সূর্যের অকাল অস্তাগমন,
বাংলার লাল-সবুজ পতাকাকে রক্তসিক্ত করলো!

তিরিশ লাখ প্রাণের রক্তে রঞ্জিত
এ পতাকা আবার খামচে ধরল,  
একাত্তরে পরাজিত
বাঙালীর রক্তলোলুপ হায়েনার দোসরচক্র!
এরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান নামে হয় আতংকিত।

এরা জানে বাংলার মাটিতে
যেখানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শুয়ে আছেন,
সেই মাটিতে দাঁড়ানোর এতটুকু অধিকার তাদের আর নেই।
বঙ্গবন্ধুর রক্তে স্নাত যে মাটি হয়ে উঠেছে ক্রন্দসী।
সেই মাটি কেঁদেই যাবে চিরকাল!
এ মাটি চিরপবিত্র হয়ে উঠেছে
বঙ্গবন্ধুর পবিত্র দেহকে তার বুকে ধারণ ক’রে।

এ বাংলা, রবীন্দ্রনাথ। নজরুল। সুকান্ত। জীবনান্দ দাশের বাংলা।
এ বাংলা, শেরে বাংলা। সূর্য সেন। সোহরাওয়ার্দী। ভাসানীর বাংলা।
এ বাংলা, বাঙালি। আদিবাসি। উপজাতি ও সকল নৃ-গোষ্ঠির বাংলা।
এ বাংলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বাংলা!