বুকের মাঝে যে তিলক চিহ্ন
বিধাতা এত যত্নে এঁকেছিলেন,
তাই নিয়ে বিব্রত হতাম তখন
যখন দেখতাম কোন মুখচোরা বালক
চুপিসারে দেখে নিত,
আর তৈরি হত একেকটি কবিতা।
ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে উড়নায় ঢেকে যেত
শরীরের অনাকাঙ্ক্ষিত তিলক সহ বুকের জমিন;
তোমরা তাকে কাব্য বলো,
আমি বলি-নষ্ট উপাখ্যান।।
কলেজের করিডোরে আনমনা ভাবনায়
বুঁদ হয়ে থাকা এই আমি,
যখন শুনতাম দূরের রাখালিয়া বাঁশীর সুর-
মনের মাঝে বিষাদের ঘন্টা বেজে
তৈরি হত একটি কবিতা।
ভাবনার বেড়াজাল ছিন্ন করে
ছিঁড়ে ফেলতাম ডায়েরির পাতা,
দ্বন্দে চূর্ণ বিচূর্ণ মন ভেঙ্গে যেত নিমিষেই;
তোমরা তাকে কাব্য বলো,
আমি বলি-নষ্ট উপাখ্যান।।
ট্রেনের কামরায় অগণিত মানুষের ভিড়ে
হঠাৎ চোখাচোখি শার্টের আস্তিন গুটানো,
বেখায়ালী ছেলেটার মনের মাঝে
মুহূর্তে যে ঝড় দেখেছিলাম,
তাই নিয়ে তৈরি হল আরেকটি কবিতা।।
দুলে ওঠা মনের ভাবনাকে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম
পেছনে পড়ে থাকা নষ্ট ইঞ্জিনের মত;
তোমরা তাকে কাব্য বলো,
আমি বলি-নষ্ট উপাখ্যান।।