কিছুটা আড়াল-আবডালেই বাজে সুন্দরের মৃদঙ্গ  
ফুলের গহনে যেমন লুকিয়ে অলির আনন্দ ।

কিছুটা আবছা আঁধার
বন-বাদাড়, আধো-আলোর বাহার
পাতার ফাঁক ফোকর, ঝরা পাতার নুপুর
নৈশব্দ ঘোরে লুকোচুরি খেলা জোছনার ফুল!
উচ্ছ্বল বাতাসের বুকে বুক রেখে
লিখে যায় সুন্দরের সাতকাহন!

সাঁজের মায়ায় কুয়াশা ভাসা জলছাপ
বনের ধারে জোনাক তারার স্ফোটন
ধুপছায়ে নিমগ্ন নিসর্গ কোমল
আহা ! এ যেন অনিন্দ্য রূপের প্লাবন।
টুপ করে ডুবে যায় আমার ভাব বিলাসী মন
কোথায় যেন হারিয়ে যায় উন্নাসী প্রাণ !


পৃথিবীর এইটুকু সুখের নির্যাস পান করে
  বেঁচে থাকা যায় হাজার বছর
এমনি নিগুঢ় অরন্যে কেটে যদি যায়
যাক জীবনের বিমূর্ত  প্রহর!

সেই সাথে প্রত্যহ সোনালি ভোরে জুড়ে থাক
শিশিরের বাটিতে এককাপ উচ্ছ্বল রোদ  
নিভৃত দুপুরে
এক বর্তন দক্ষিনা সৌরভ  
আর সন্ধ্যার মায়াজালে লেগে থাক
জোনাকের সপ্নিল আলোক ;

আর গহীন রাতে
জোছনা মাখা নির্জনে যদি পাই
এক মগ নিঝুম বন-কফি !

পাশে বেজে যায় যদি  পুরনো দিনের সেই গান গুলি ...

'' যখন প্রথম প্রথম ধরেছে কলি..
আমার মল্লিকা বনে.....


যদি তুমি দূর থেকে পাশে এসে বলো
স্ব্রগে যাবে এই দেখ পথ..
আমি ফিরিয়ে দেব তোমায়
হয়তো বলবো–  
  
এইতো আমি বেশ আছি!