কেউ থাকে না
কিছুই থাকে না
কেবল দাগ থাকে স্মৃতির !
এই যে বাড়ি মামার,
মামা নেই, নেই মামি
কেউ নেই সেই মায়ার সাগর !
বড়-খালা নেই , তাঁর পান-খাওয়া,
গল্প-বলা বান্ধবীরা নেই
কবে যে মুখ লুকিয়েছেন হিসেব কষে দেখি না আর
বহুদিন, বহুকাল, গিয়েছে চলে
তবু মনে পড়ে তাঁদের !
সেই মায়া বৃক্ষরা কেউ নেই
যেন মাটিতে, আকাশে, বাতাসে হারানোর হাহাকার !
সেই নদী নেই , নেই সেই চর
নেই সেই ওঠোন, নেই সে ঘর !
নেই সেই পথ, নেই সেই ঘাট
নেই খেলার সেই মাঠ |
মানুষের হৃদয়ের মতো সব
সংকোচিত আজ !
ডিম কুড়োনোর সেই কলমির ঝোঁপ নেই
শাপলা ফোটার সেই শান্ত ডোবাটি নেই
মামার সেই পইত্তা নেই
পইত্তার পাশ ঘেঁষে পূবের মাঠে যাবার সেই প্রশস্ত রাস্তাটি নেই !
অবারিত স্বপ্ন দেখার সাজানো সেই ছবিটি নেই
সেই পিছনের বিছরায় লাগানো ডাঁটা, কাঁটা কীদরি নেই
কাঁচা-মরিচ আর বেগুনের গাছ নেই,
পিছনের পুষ্করিণী্র সেই ঘাটলা নেই |
চৌধুরী নানা বাড়ির সেই জৌলুস নেই
বাড়ির সামনের ছায়ানটের মতন সেই
পথটিও নেই !
কিন্তু আমিতো খুঁজে ফিরেছি তাই
আমার স্বপ্ন, শৈশব, কৈশরের দিনগুলো !
যা রেখে এসেছিলাম ২৫ বছর
কিংবা তারও আগে !
সেই অনিবার দিনগুলো আমার
কে ফিরিয়ে দেবে আবার?
সেই খেলার সাথিরা নেই
ভূত ভূত ভয় দেখানো খেলা খেলে না আর না কেউ
জানি না সেই মায়াবি সন্ধ্যায় মায়াদ্বীপ কে জ্বালায় !
মায়ামি জোছনায় খুশির দৌড়ে, পড়ে কেউ কী ব্যথা পায় ?
তারা মায়ের কাছে ব্যথা দেয়া সাথিটির নাম লুকায় ?
আমি এখন উত্তর খুঁজে বেড়াই |
ধারনা মিথ্যে ছিলো আমার
ভাবনা ছিলো, হয়তো মিলবে সে উত্তর
সেই পুকুরের ঘাটে,
সেই মেঠো পথে
সেই নদীর ধারে
সেই সবুজ ঘাসে
সেই মাটির গন্ধে
সেই কলমির ফুলে !
হয়তো কোনো মায়াবি হৃদয়ে
সেই সময়ের কোনো পুরনো বৃক্ষের ডালে
কোনো পাখির কন্ঠে !
আমি খঁুজেছি আমারে
তাদেরই মাঝে
চাঁদের আলোতে
পৌষের কুয়াশালী শীতে
কিংবা ভোরের হাসিতে !
কিছু নেই আর আমার মতো করে
আমি পাইনি তাই কোথাও কাহারে' !
হয়তো সময় অন্য গল্পের স্ক্রিপ্ট লিখে এখন !
হৃদয় আমার একাকি কাঁদবে বলে খুঁজে নির্জন!