বছর জুড়ে যাওবা থাকি
হেমন্তে না পারি ,
মা আমায় ভীষণ ডাকে
আয় না এবার বাড়ি।!  

হেমন্তকাল এলে
মা ডেকে পাগল করে
বলে ভাত খেয়ে যা
ছোট্ট-মাছের ঝোলে
কাচা মরিচ ধনেপাতায়
রেধেছি ঝাল করে!  

আরও ডাকে তার পিঠাপুলি
মৌমৌ করে ঘ্রাণে,
মাঠ-ভরা ওই সবুজ ফসল
সোনা-বরণ ধানে।


সর্ষে খেতের আ'লে
পা ভিজে যায় জলে
শিশির ধোয়া ঘাসে
শিহরণে মন জাগে ।
মটরশুটি, মাসখলাইরা
ডাকে দুপুর হলে ।

সাঁঝের মায়ায় জোনাকেরা
বনের ধারে ভিড়ে ,
হলুদ সর্ষে ঢেউ খেলে যায়
সোনার আলো জ্বলে ।
গহন রাতে জোছনা নামে
চাঁদের ঝাঁপি খুলে।

ধানের ক্ষেতের পাশে
এক নদী গেছে বেঁকে
সেও ভীষণ ডাকে, বলে
নেয়ে যাও মোর জলে!
স্বপন মাঝি নির্জনে
ভাটির গাংেগ ভাসে !

রাখাল ঘরে ফেরে
গোধূলি রঙ মনে  ।
কে যেন গো বাজায় বাঁশি
সন্ধ্যে সন্ধ্যে হলে ।
গরুর গাড়ি ওপথ ধরে
সারাবেলাই চলে ।।