' তবুও মন অবাধ্য- '
.........................ধ্রু বা লো ক
ঊষাকালে মহাজাগতিক সফররত মনকে বললাম-
পথিকবর, দাঁড়াও ক্ষণিকের তরে,
স্মরেছো কি আজ সে করুণাময় ঈশ্বরে?
নিদ শেষে ব্রাহ্ম মুহূর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করোনি তাঁকে?
আলোকোজ্জ্বল আরেকটা সকালে তোমাকে বাঁচিয়ে রাখার নিমিত্তে?
এমন তো হতেই পারতো-
গত নিশার ঘুমটাই হতো তব জীবনের শেষ ঘুম!
নিঃশ্বাস হয়ে যেত বন্ধ,
রাত্রে ঘুমের দেশে থাকাকালে!
ওহ্ মন,
ভাবো জীবন কত ঠুনকো হতে পারে-
তাঁর সুকোমল সুকঠিন হাতে!
একটা সামান্য আলতো আবেশেও জীবন-দীপ বাহিরায়!!
তবুও কত অহমিকা ও লোভ তোমার!
কারণ তুমি স্বীয় মনে প্রাণে সর্বদায় ভাবো যে -
তুমি অন্যদের তুলনায় কত মাত্রায় সুপিরিয়র!
তুমি তো ভুলেই যাও যে তোমার সব প্রাপ্তি, প্রাপ্তব্য-
অকারুণিক ও অদোষদর্শী তারঁই অসীম দান তোমার প্রতি!
বেচারা মন!
কে দিবে তোমাকে একটি সাধারণ নিশ্চয়তা -
শতোত্তর বয়স হবে তোমার!
কেইবা নিশ্চিত করবে যে তুমি সর্ব্বকনিষ্ঠ-
তাই তোমার মৃত্যুও সবার শেষে হবে!
জানো কি বৃদ্ধ পিতার কোলেও প্রিয় সন্তানের নিথর দেহ থাকতে পারে!
মৃত্যুর কোনো সময় অসময় নেই -
পার্থিব যেকোন মূল্যবান দামী জিনিসের বদৌলতে-
এ প্রশ্নের মিমাংসা কদাপি সম্ভব কি হয়?
অবুঝ মন রে,
তবুুুুও তোমার জেদ,তোমার উদ্ধতপনা সর্বদায় থাকে অটুট!
শুনতেই চাওনা সাধারনের কথা, করো শুধুই অসম্মান !
যেন মনে হয়, তুমি চিরন্তন,অমর স্বাধীন!
যেন তুমি কোন মহান অমর শক্তিতে শৃংখলিত নও!!
আজকের রাজা হলেও-
কাল কপর্দকহীন হওয়া অসম্ভব কিছুইনা!!
দুষ্টমন, কবর বা চিতায় একটি শব কেমন করে থাকে?
সামান্যতমও সে মহান চিন্তা তোমাকে করেনা স্পর্শ!
যা তা আচরণ তোমার, অন্য সাধারণদিগের প্রতি!
আধ্যাত্মিক মন,
মৃত্যুচিন্তা, এক পরম গুরু মুসাফির,পথপ্রদর্শক -
সৎ চিৎ ও আনন্দময় পরম কারুণিক হলেন পরমেশ্বর।
স্মর তাঁরে প্রীতিতে-সরলতায়-সততায়- মানবতায়-
সন্তুষ্টিতে দিবেন সদানন্দময়, অসীম শান্তিবর!!
তারিখ : ১৬।০৫।২০২২ ইং