নিগম ঠাকুরের জন্মোৎসবে -
' স্তবকুসুমাঞ্জলি '

✍️  চি ত্ত র ঞ্জ ন  স র কা র
       তারিখ : ৩১/০৮/২০২৩ ইং
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

পুণ্য ঝুলন পূর্ণিমা তিথিতে ঠাকুর ১৮৮০ সালে।
জন্মিল নলিনীকান্ত নামে,মাণিক্য সুন্দরীর কোলে।।

কুতুবপুর গ্রামের পিতাশ্রী নৈষ্ঠিকী ভুবনমোহন।
পিতার গুরু শ্রীমৎ স্বামী ভাস্করানন্দ সরস্বতী হন।।

সার্ভে পড়ে রানী রাসমণির এস্টেটে চাকুরি।
সুধাংশুবালার সাথে হয়েন তিনি সংসারী।।

নলিনীকান্ত চাকুরীরত থাকেন দিনাজপুরে।
একদিন স্ত্রীর ছায়ামূর্তি হেরেন তন্দ্রাঘোরে।।

৫ বছরের অর্ধাঙ্গিনীর মরণের ঘটনায়।
অস্থির হন তিনি ছন্নছাড়া,বেঁচে থাকা দায়!!

কামাক্ষায় নীলাচল পাহাড়ে নির্বিকল্প সমাধি।
মহামায়ার আদেশে মর্ত্যে, সদগুরু নিরবধি।।

এলাহাবাদে কুম্ভমেলায় জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য।
নিগমানন্দ পেল উপাধি 'পরমহংস','পরিব্রাজকাচার্য'।।

হৃদ্দিক কৃচ্ছ্বসাধনায় তন্ত্র,জ্ঞান,যোগ ও প্রেমে।
চতুর্বিধ সাধনায় সিদ্ধ তিনি হলেন কালক্রমে।।

কলকাতায় ১৯৩৫ সালে ব্রহ্মলীন-সত্ত্বায় দেহাতীত।
শিষ্যমাত্রই তিনজন্মেই মুক্তিলাভ,করেছেন নিশ্চিত।।

ভক্তিপথে সুলভে অদ্বৈত ব্রহ্মজ্ঞান অর্জন।
আধ্যাত্মিক রত্নে সমৃদ্ধ করতে 'ধর্ম-সনাতন'।।

'শঙ্করের মত' 'গৌরাঙ্গের পথ' মূল তত্ত্ব তাঁর।
'জয়গুরু' মহামন্ত্র অনন্য ব্রহ্ম-সাধনার কন্ঠহার।।

আজ তোমার জন্মদিনে ঠাকুর,এই আকিঞ্চন।
জন্মে জন্মে ব্রহ্মবিদ-গুরু রূপে দিও দরশন।।

জাগুক হৃদয়ে গুরুবর, সমুদয় 'সাত্ত্বিক ধৃতি'।
স্থাপিত হোক ধরায় উদ্ভাসিত কল্যাণকর-কীর্তি।।