গুরুবর শ্রী শ্রী জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মোহান্ত মহারাজের প্রয়াণ স্মরণে-
তাং ০৯-১১-২১ ইং
---গুরুচরণাশ্রিত অধম চিত্তরঞ্জন সরকার।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সকাতরে জানাই তোমায় মধুর জয়গুরু সম্ভাষণ -
দেহাবসানে বিদায়ের কালে,নয়নের জলে;
হৃদয় তন্ত্রী যাচ্ছে ছিঁড়ে,
গুরুদেব,ভাবতেই পারছিনে তোমার চির অদর্শন!
মুহুর্মুহ স্পষ্ট হৃদয়ে ভেসে উঠছে সেদিনের সেইদিন-
চরণযুগলে যুগলে রেখেছিলাম মাথা,
পেয়েছিলাম অনন্য আশীর্বাদ,
আর সাধন সহায়ক অমূল্য উপদেশামৃত।
০৮-১১-২১ ইং তারিখে অনন্য নক্ষত্র পতনে,
সশ্রদ্ধ হৃদয়ে চিরাবনত চিত্তে স্মরণ করি তোমায়-
অসহনীয় পিতৃহারানোর বিয়োগ ব্যথা।
তুমি ওহে গুরুবর বেদান্তমূর্তি-
আর কে জানাবে এত সরলীকরণ করে,
বেদের মহাবাক্য, দেহমন উজার করে?
পূতমূর্তিখানি বার বার নয়নাকাশে ভেসে উঠছে -
নিরালম্বভাবে বসে আছেন।
হৃদয়ের মণিকোঠায় রত্ন সিংহাসনে,
অনন্ত মঙ্গল আশীর্বাদের ভঙ্গিতে।।
সৌষ্ঠব চিদঘন দেহখানি চিদাভাসে লীন-
ব্রহ্মনির্বাণে মহাসমাধিতে মগ্ন,
পরাবরব্রহ্ম নিগম ঠাকুর-জ্যোতি ধ্যানে।
হৃদয় তো মানে না, মানতেই পারছে না -
ভাবতেই পারছে না তব অসময়ের হঠাৎ প্রস্থান,
অনাথ করে দিয়ে শিষ্যভক্তে চিরতরে।
হে গুরুদেব, হে পিতা আধ্যাত্মিক কান্ডারী -
রেখো সদা মোদের মস্তকে তব করুণাঘন স্নেহছায়া।
চালিও সঠিক পথে ক্লান্তিহীনভাবে,
আনন্দ আলোকের উন্নত পথে।।
নদীর গমন যেমন সমুদ্রের অভিমুখে ধায়-
'সচ্চিদানন্দ' যেন পাই চিত্তে, তব কৃপায়।
হে মহান গুরুবর জ্ঞানানন্দ সরস্বতী-
অমৃতলোক থেকে করিও আশীর্বাদ,
যেন পারমার্থিক জ্ঞানকে প্রাপ্ত হই-
হৃদিকন্দরে পাই অভূতপূর্ব প্রেমানন্দ।।