' কুসুমাঞ্জলি '
( Kusumanjali )
শ্রদ্ধেয় সুপ্রিয় মশিউর রহমান স্যারের অবসরে-
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
জীবনের প্রারম্ভিক দিনগুলিতে -
হে আমার দিকনির্দেশক গুরু!
উৎসাহ অবিরাম পাইয়াছিলাম,
হইয়াছিল জ্ঞান-প্রাপ্তি শুরু।।
জন্ম আমার অখ্যাত আলোহীন
চির সমস্যাকীর্ণ সমাজে!
তব শুভাশিসে মম চিত্তে
বিবেক জ্ঞানাঞ্জন বিরাজে!!
জীবনের ভিত্তি হাইস্কুল পাঠে
আপনি আমার মহান গুরু।
আপনার প্রাণবন্ত ক্লাসে হইয়াছিল
প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ শুরু।।
আপনার কল্যাণকামী উৎসাহে
হইলো মোর মেধার স্ফুরণ!
শ্রদ্ধাস্পদ শিক্ষক-প্রধান
শুভাকাঙ্ক্ষী স্নেহপরায়ণ।।
ধর্মপ্রাণা, সৎ, নিষ্ঠাবান
সময়নিষ্ঠ,কঠোর কর্তব্যপরায়ণ।
উত্তম অধ্যবসায়ে করিয়াছেন
শত প্রতিকূলেও অসাধ্য সাধন।।
তব স্নেহময় ভালোবাসায়
সিক্ত আমি অপাংক্তেয় নরাধম!
জুনিয়র বৃত্তি ও মাধ্যমিকে
ভালো করিবার আপনিই রসদ-উত্তম!!
উচ্চাকাঙ্খা করিতেন পোষণ
আমার ভালো ফলাফলের তরে।
জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষায় গড়িয়াছিলেন
উজ্জ্বল নক্ষত্র সৃজিবারে!!
'ভালো কিছু করিবেই জীবনে
মহান সৃষ্টিকর্তার বরে'।।
নিষ্ঠুর নিয়তির কঠোর নিগরে
আমার হস্তপদ যেন বাঁধা!
ছিটকে পড়িলাম -
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হইতে!
দৈবের লিখনে হইনু অর্বাচীন গাঁধা !!
করিতে পারিনি পূরণ সামান্যতম
অন্যান্য সফল শিক্ষার্থীদের মত-
তব চিন্তিত প্রত্যাশা!
ব্যর্থ আমি, লজ্জিত আমি
সাক্ষাৎ করিতে তাই সন্তোষ দূরাশা!!
হইয়াছি মাধ্যমিক ইংরেজি শিক্ষক
সরকারি উচ্চ পদাধিকার দূরে!
যতোই করিয়াছি চেষ্টা সামনে এগুতে
দূর্ভাগ্যরা পিছনে টেনে ধরে!!
পঙ্কে পদ্মফুল জন্মিয়াছিল
তব দক্ষ কোমল হাতের ছোঁয়ায়!
কর্ম বিপাকে হইয়াছি
অনুজ্জ্বল ক্ষয়িষ্ণু নক্ষত্র এ ধরায়!!
ছায়ার মতন পাশে থেকে
সেবা করিতে চিত্তে ছিল সাধ!
কঠিন নিয়তির করাল থাবায়
অনায়াসে পড়িয়া গেলাম বাদ!!
ধৃষ্টতা করুন ক্ষমা, হে মোর কারিগর
অস্পৃশ্য বলে চরণ নিও না সরিয়ে।
ধরিতে দিও গো ও দুটি পদযুগল
আশীর্বাদ নিতে ভবার্ণব তরিতে!!
প্রার্থনা করি পরম-করুণাময়ের সন্নিধানে-
তব মঙ্গলময় সুদীর্ঘ জীবন।
সুস্থ শরীরে হয় যেন
সমাজের সমূহ কল্যাণ!
উত্তম কর্মগুলো আনুক
তব অনন্য সম্মান,চির অম্লান।।