রামায়ণ মহাভারত দুটোই মহাকাব্য।
অন্তরের ছোঁয়ায় হয়েছে ধন্য;
সংসার জীবনের নানা কথা আনি
মানুষের কাছে হয়েছে অনন্য।

কাব্যিক ধারা দুঃখের ফলে
তাড়াতাড়ি মানুষ গ্রহণ করে;
ঐ গল্প বাস্তব একাকার হয়ে
জীবনের সাথে মিলায় তাহারে।

সাথে রয়েছে উপদেশ বাণী
অধ্যায় অধ্যায় উঠে তার ধ্বনি;
পাঠক কুল অন্তরের আবেগ
বাস্তবে মিশায় সেই কথা শুনি।

প্রেমের কবিতা শোকগাথা যাহা
অন্তরে মিলায়ে মেনে নেই তাহা;
মনে মনে বলি ধন্য লেখক
অপূর্ব অপূর্ব ধ্বনি তুলি আহা।

ধর্মের কথা কেন আসে হেথা
মতামত শুধু আর সব বৃথা।
আমার ভাবনা তোমার জীবন
মিলিতে পারে হতে পারে রণ।

তা বলে নয় ধর্মের সাধন
প্রয়োজন নাই পূজা-পার্বণ।
স্রষ্টার আদি আর সৃষ্টির ধারা
মহাকাব্যময় হয়ে আছে যারা।

যাহা প্রকৃত ধর্মের অনুসারী
আমরা কি তারে পূজা করি?
মাতা পিতাকেই মনে রাখিনা
কাব্যকে নিয়ে কত বাসনা!!

মানুষে মানুষে করি হানাহানি
খুলে চেতনার দ্বার নাই জানাজানি।
বলতো কেমন করে কাব্য কে
একান্তই প্রাণের ধর্ম বলে মানি?

১৩ই জৈষ্ঠ, ১৪৩১,
ইং ২৭/০৫/২০২৪,
সোমবার সকাল ৮:৫৪। ২৩৮২, ২১/৯৮
২৮/০৫/২০২৪।