শ্রম গেল অর্থ গেল
মেলেনি ওই মনুষ্যত্ব বোধ;
মতবাদ রূপী ধর্ম পারে কি
করিতে ব্যক্তি স্বার্থ রোধ?
পুণ্যের নামে পেয়েছে খুঁজে
মহাকুম্ভে অনেক কিছু;
জীবন দিয়েই মিলতে পারে
হয় মৃত্যুতে মাথা নীচু ।
কত জল বয়ে গেল
ত্রিবেণী সঙ্গম দিয়ে;
পুণ্য লভীলাম আমরা সবাই
ঘটিতে তুলে নিয়ে।
শুনি ওই ধর্মের প্রচারে-
"একবার রাম নামে
যত পাপ হরে;
জীবের কি সাধ্য আছে
তত পাপ করে?
পাপী খোঁজে পুণ্য তাই
মন্দের মাঝখানে;
পুণ্য আত্মার লাগে না তাহা
চিত্ত চেতনা জানে"।
ইহুদি থেকে মুসলিম মতবাদ
বৌদ্ধ থেকে হিন্দু;
বৌদ্ধ মন্দির থেকে হিন্দু মন্দির
গড়েছে বিন্দু বিন্দু।
মন্দির ভেঙ্গে মসজিদ হলো
আর মসজিদ ভেঙে মন্দির;
মতবাদ থেকে হলো ধর্ম ধরায়
বিশ্বজুড়ে দেখি কত তদবির।
আর্যরা ছিল অনুপ্রবেশকারী
এই অনার্যের দেশে;
তারা হল হেথা দেব দেবতা
অনার্য রাক্ষস শেষে।
সাধু সন্তরা ওই বসে
দেখো আরাম কেদারায়
শ্রমজীবী ওই দরিদ্র মানুষ
কাঁদে ক্ষুধার জ্বালায়।
শাসক শোষকের বেইমানি দেখি
ওই গণতন্ত্রের নামে;
রাখতে চায় ঐ ভুলাইয়া তাঁদের
মিথ্যা ধর্মের ধামে।
কবে ফিরবে সেই চিত্ত চেতনা
মানুষের মতো হয়ে?
ত্রিবেণী থেকে গঙ্গা হয়ে
ওই সমুদ্রে যাবে বয়ে?
১৮ই ফাল্গুন, ১৪৩১,
ইং ০৩/০৩/২০২৫,
সোমবার সকাল ১১:৩৩। ২৬৬২,
২৪/১৯৪, ০৪/০৩/২০২৫।