হোলিকা ওরফে হোলি হলো
হিরণ্যকশিপুর বোন;
নয় এরা আর্য নয় এরা ব্রাহ্মণ
ছিল বৌদ্ধ ধর্মে মন।

সেই নিরশ্বরবাদী বৌদ্ধদের ওই
মুন্ডিত মস্তক ছিল;
শেষে ভিক্ষুর মাথা ক্ষুরের আঘাতে,
ন্যাড়া' নামটা পেল।

অধুনা কথিত হিন্দুরা তাঁদের
ম্লেচ্ছ সম্বোধন করে;
তারাই রক্ষক থেকে রাক্ষস হলো
ব্যক্তি স্বার্থের ঘোরে।

রাক্ষক হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকে
পুড়িয়ে মারা হয়েছিল;
তাই থেকেই হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ানো
ওরা উৎসবের নাম দিল।

আর্য ব্রাহ্মণদের নির্মম পরিহাস
অনার্যের রক্ত নিয়ে খেলা,
অগ্নি-কুণ্ডে ঝলসানো ইতিহাস,
বহন করে হোলির মেলা।

বৌদ্ধ রাজা রক্ষক হিরণ্যকশিপু
বিষ্ণুর উপাসক হতে চাইনি;
তাই পুত্র প্রহ্লাদকে বিষ্ণু ভক্ত করে
সেই প্রতিশোধ আর্যরা নেয়নি?

ভগবান এখানে কে ছিল,
আর কি ছিল সত্যের বাণী?
সত্য কি পুড়ে মরেছে আগুনে
তাই ইতিহাসের টানাটানি?

ব্রাহ্মণবাদী বিষ্ণুকে প্রতিহত করতে
হোলি ভাইয়ের পাশে দাঁড়ায়;
বৌদ্ধ ধর্মকে বাঁচাতে গিয়েই হোলি
তাঁর নিজের জীবন দেয়।

সুযোগ বুঝে নরাধম বিষ্ণুর দল
হিরণ্যকশিপুকে খুন করে;
হোলি উৎসব বৌদ্ধ ধর্মের অবসান
আর্য ব্রাহ্মণ্যবাদের জয় বলে।

আর্য ব্রাহ্মণদের ওই বিষ্ণুপুরাণে
সে কথাই লেখা আছে;
অতীতের সেই ইতিহাস আজ ও
রাখে প্রশ্ন আমাদের কাছে।

ওহো! অনার্য যারা, ভাবেনা তারা,
কি তাঁদের পরিচয়?
কাদের জন্য আজ বিভাজনের খাঁড়া
সমাজকে বইতে হয়?

অগ্নি কেবল জ্বালায় না শুধু
সে সত্যের আলোকও দেয়;
ন্যাড়াপোড়ানোয় যদি বিজয় হয়,
তবে প্রশ্নের উত্তরে কি দাঁড়ায়?

৫ই চৈত্র, ১৪৩১,
ইং ১৯/০৩/২০২৫,
বুধবার দুপুর ১:৫২। ২৬৭৯,
২৫/৩০,২১/০৩/২০২৫।