সত্য যদি ধর্ম হয়
মানুষের আর থাকে না ভয়
তবেই হবে মানবতার জয়।
ওই আস্তিক কারে বলা-
ধর্মের নামে মহফিল খোলা?
না- বৃষের মতো পথে চলা।
গেরুয়া পরে রুদ্রাক্ষ গলে
সাধুর বেশে তাঁরা চলে
ধর্মের আওয়াজ মুখে তুলে।
এমন-এই জগতে ধর্ম হলে
গাঁজা ভাঙ আফিমও কথা বলে।
মুখে বিকট আওয়াজ তুলে।
আস্তিকের সেই ব্রহ্মতত্ত্ব
হবে মনু বাদে সবাই মত্ত
যাবে উড়ে সকল সত্য।
যেন পাখির চোখ ব্যক্তিস্বার্থ
তাহাই যেন ওদের পরমার্থ
অবশেষে তাঁরাই হবে ব্যর্থ।
নাস্তিকরা সবাই সত্যদর্শী
মনুষ্যত্ব ও মানবতায় বিশ্বাসী
কর্মে তাঁদের দিলখোলা হাসি।
ধর্ম জাতে নাই ভেদাভেদ
গীতা, কুরআন, বাইবেল, বেদ
সঠিক শ্রমে কভু বাড়ে না মেদ।
আস্তিক বলে চিহ্নিত যারা
পরের ধনে এক পায়ে খাড়া
বলে ব্যক্তি স্বার্থে সবাই দাঁড়া।
ভয় দেখিয়ে পূজা পার্বণ
ফলে হারিয়ে গেছে আসল মন
তাই ভীড় জমিয়েছে নাস্তিকজন।
সত্যকে বলে নাস্তিক ওরা
ধর্মের গুণ জানে না তাঁরা
জগত আজ তাই শান্তিহারা।
নাস্তিক ই পারে জীবন দিতে
দাঁড়িয়ে ভালোবাসার শক্ত ভিতে
দূরকে বাঁধতে পারে আপন মিতে।
ওই নাস্তিকতার গুণটাই বড়
আস্তিক থাকে সত্যের ভয়ে জড়সড়
জানি মিথ্যা তাঁদের প্রাণের তর।
যুক্তি প্রমাণ নাস্তিকের ভরসা
তাই খরার পরে আসে বর্ষা
গরিব দুঃখীর তাঁরাই ভরসা।
আস্তিক বয়সে হলে বৃদ্ধ
হয় মিথ্যা বলতে অন্তর সিদ্ধ
জ্ঞানের আলোয় হয় না ঋদ্ধ।
সাধনার নামে অধর্মচারে
আর ভুলে ভুলে সমাজ ভরে
বয়ে বেড়ায় মাথায় করে।
যখন আসল সত্য এসে যায়
পালায় তারা পেয়ে ভয়
নাস্তিকের হয় তখন জয়।
এখন ধর্মযন্ত্রনায় অতিষ্ঠ মানুষ
তাই নাস্তিকতায় জেগেছে হুশ
যেথায় দিতে হয় না কোন ঘুষ।
কালের পরিবর্তনের সাথে সাথে
নবচেতনার চিত্ত হাটে পথে
ছুটবে এবার নতুন রথে।
নাস্তিক তুমি জাগো এবার
করতে হবে মঙ্গল সবার
বিকল্প যে নাই তাহার।
৪ঠা চৈত্র, ১৪৩০,
ইং ১৮/০৩/২০২৪,
সোমবার বিকেল ৪:৪০। ২৩১৭, ২০/১৫৩, ২৩/০৩/২০২৪।