শৈশব কৈশোর যৌবন গেল
যাওয়ার পথে কাল বৃদ্ধ;
শত অভিজ্ঞতা পেয়েও আমরা
হলাম না জ্ঞানে ঋদ্ধ।
আদিম সংস্কার মেনে নিয়ে
অবাস্তবকে বাস্তব বলি;
ওই পূজা পার্বণ তাহারই ফল
সবাই চোখ বন্ধ করে চলি।
সত্য, মিথ্যা, ভাবনা, বাস্তব,
সব গোল পাকিয়ে যায়;
না জানলো এই প্রকৃতিকে
মিথ্যা বিশ্বাস নিয়ে ধায়।
ধর্মের নামে ব্যক্তি মতবাদ
রাখলাম শিরোধার্য করে;
ঈশ্বর বিশ্বাস পৌঁছে গেল
তাই প্রতি ঘরে ঘরে।
তাইতো বলি- "এক রাম নামে
যত পাপ হরে;
কোন জীবের কি সাধ্য আছে
তত পাপ করে"?
ব্রাহ্মণ্যবাদের চাণক্য ছিল মনু
তার পুত্র ইক্ষ্বাকু ছিলেন
রামের বংশের প্রতিষ্ঠাতা;
সেই রাম হলেন এই জগতে
সকল পাপি তাপির ত্রাতা।
সীমাহীন সবাই পাপ করে
মহাকুম্ভে স্নান করতে যায়;
পাপ তাড়ানোর কত কৌশল
শাসকরা মানুষকে শেখায়।
গল্পের গরু গাছে ওঠে
আমরা মেনে নিলাম সবাই;
ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তবে এসে
সবাইকে সেই কথাটা ভাবাই।
আর কতকাল রইব আমরা
ওই চোখে গামছা বেঁধে?
কেন সত্য ছেড়ে মিথ্যা ধরে
সকল দায় নেব সেধে?
যুগের পরে যুগ চলে যায়
স্বর্গ নরকের কথা ভেবে;
জীবন থাকতে করবো না প্রতিবাদ
করব মৃত্যুর পরে তবে?
সংস্কার আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে
রেখেছে কঠিন বাঁধন দিয়ে;
এমনি ভাবেই শেষ হবে জীবন
মাথায় সকল বোঝা নিয়ে?
তাইতো বলি বেরিয়ে আসতে
সকল বাঁধন ছিঁড়ে;
তোমার প্রজন্ম ওই উত্তরসূরী
রাখবে মাথায় করে।
সত্যের আলোয় বাস্তবের আলোয়
হোক আলোয় একাকার;
আর মুক্ত আলোয় নেবে শ্বাস
জগতের উত্তরসূরী এবার।
১১ই চৈত্র, ১৪৩১,
ইং ২৫/০৩/২০২৫,
মঙ্গলবার মধ্যাহ্ন ১২:৩২। ২৬৮৪,
২৫/৪৭, ২৬/০৩/২০২৫।