সন্তান বাঁচে পিতৃ পরিচয়ে
যে জন্ম দিল তার মূল্য নাই;
কথায়, লেখায়, শুধুই তাঁরে
আমরা আপন করে পাই।

যৌবন কালে কত শুক্রাণু
অন্তর্বাস বিছানায় পড়ে রয়;
তারাই মায়ের গর্ভে এলে
দশ মাস আপন দেহে বয়।

ওই মায়ের পরিচয় নাই প্রয়োজন
হায়রে এ কোন পুরুষ সমাজ?
যত অত্যাচার মায়েরাই সইবে
দেখো ওহো! সেই পুরুষের রাজ।

পুরুষ জন্মিয়ে ওই মায়ের গর্ভে
সেই মাকেই দেখি করছে অপমান;
বলো মায়ের চাইতে বড় পরিচয়
এই জগতে কে করবে তারে দান?

প্রভাত থেকে রাত্রি অবধি
অবসরবিহীন মায়েরাই কাজ করে;
দশটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত
না কি - পুরুষরাই খেটে মরে।

ভাগ্যক্রমে যদি কোন নারী
কোন চাকরি পেয়ে যায়;
অফিস বাড়ি দুটোই তাকে
একেবারে আস্তো গিলে খায়।

সন্তান পালন এবং রান্না বান্না
সবই তাকেই করতে হবে;
আর পুরুষরা সব খেয়ে দেয়ে
অফিসের গাড়ি ধরতে যাবে।

এর পরেও অধিকারের কথা
পুরুষের কেমনে আসে মনে?
পিতা মাতা আপনজনদের ছেড়ে
পুরুষের সাথে থাকে এক সনে।

কার পরিচয় বড় হওয়া উচিত
মায়ের না ওই বাবার?
আছে কি সময় বলতো বন্ধু
কোন জটিল ভাবনা ভাবার?

২৬শে অগ্রাহায়ন, ১৪৩১,
ইং ১২/১২/২০২৪,
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪:১৩।২৫৮১, ২৩/১৯২,
১২/১২/২০২৪।