আসায় শূন্য যাওয়ায় শূন্য
ওই শূন্যেই সমাধান;
এই শূন্যের মূল্য অপরিসীম
ভারত করেছে দান।
দর্শনে ভারত জগত শ্রেষ্ঠ
ছিল সনাতন বিশ্বাস;
আর্যরা এসে এই ভারতে
ফেলেছে মিথ্যার নিঃশ্বাস।
হীন থেকে হিন্দুর উদ্ভব
ইরানের আর্য সমাজ বলে;
আর্যদের হীন যারা ছিল
তারাই ভারতে আসে চলে।
সনাতন বিশ্বাসে বৌদ্ধ চেতনা
এনেছিল এ দেশে বুদ্ধ;
ঈশ্বর বিশ্বাস ছিল না তাহার
ছিল ভালোবাসায় শুদ্ধ।
আর্যরা শেখালো ঈশ্বর বিশ্বাস
আনলো বিভাজনের বান;
মনুসংহিতার স্রষ্টা আর্য মুনি ভৃগু
এটাই ব্রাহ্মণের সংবিধান।
হীনমানুষের হীনমন্যতায় সৃষ্ট
ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্র;
চতুরবর্ণে মানুষকে ভাগ করে
সনাতন সমাজ হলো ক্ষুদ্র।
প্রকৃতি বিশ্বাসে ছিল ভালোবাসাবাসি
হিংসা হয়েছিল রোধ;
আর ব্রাহ্মণবাদের সেই চাতুর্যেই
লিখিত গল্প মহাভারত।
গীতাকে বলছে ধর্মীয় গ্রন্থ
গল্পের গরু গাছে ওঠে;
তাহাই নিয়েছে বিশ্বাসে ঠাঁই
শুধু মানুষের ঠোঁটে ঠোঁটে।
এভাবেই এলো মানুষের বিশ্বাস
হলো পরিনত হিন্দু ধর্মে
বিশ্বাস একবার তৈরি হলে মনে
সেই প্রতিফলন ঘটে কর্মে।
শৈশব থেকে যদি কিছু শেখে
সহসা যায় না ভোলা;
কৃষ্টিতে তাহা হবেই পরিবর্তন
চিরদিন অন্তরে থাকে তোলা।
জন্মায় মানুষ শূন্য হাতে
সাথে থাকে না কিছু;
মাতা পিতার কৃষ্টি শিখে শিখে
মাথা করতে হয় নীচু।
হিন্দু শিশু হলে বড় মুসলিম ঘরে
সে আল্লাহ আল্লাহ বলে;
মুসলিম শিশু হলে বড় হিন্দু ঘরে
মুখে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে।
ধর্ম বন্ধু আর কিছু নয়
এই যে মানুষের মতবাদ;
মানুষে মানুষে বিভেদ কেন
বুঝি ধ্বংসের হল সাধ।
সকল ধর্মের গোড়া খুঁজতে গেলে
এমন ইতিহাসই পাবে;
জেনো দুষ্টুচক্রের কারসাজি এটা
কজন মানুষের গান গাবে?
চেতনাই পারে শেখাতে মানুষ
আর কোন পথ নাই;
তুমি আমি আমরা তোমরা
জেনো সবাই ভাই ভাই।
তাই বলি আজ হোক সেই রাজ
যেন মনুষ্যত্বের শিক্ষা পাই;
ওই আপন পর খুঁজতে গিয়ে
কেন হিংসায় নেবো ঠাঁই?
আমরা মানুষ মনুষ্যত্ব ধর্ম
যদি মেনে চলতে পারি;
শান্তির চাকা তরতর করে
ছুটবে মানব জীবনের গাড়ী।
১৫ই ভাদ্র, ১৪৩১,
ইং ০১/০৯/২০২৪,
রবিবার সকাল ১১:০৬। ২৪৮০, ২২/১৪৪,
০২/০৮/২০২৪।