একটা দেশের ধ্বংস অনিবার্য
থাকলে ঘুমন্ত প্রজা আর জঘন্য রাজা;
সংগতে থাকে যদি বিক্রীত প্রচার মাধ্যম
আর তাদের হাজা খাজা সাংবাদিকেরা।
আমরা যাদের ভিখারি বলি
আদতে তারা ভিখারী নয়;
যারা চেয়ারে বসে গায়ের জোরে
টাকা মেরে খায় ভিখারি তাদের কয়।
যেদিন রাজনীতি থেকে অর্থ উপার্জনের
সকল রাস্তা বন্ধ হয়ে যাবে;
তখন একজন বাদে বাকি শতাংশ
জীবন জীবিকার জন্য কাজে মন দেবে।
শিক্ষা লাভ করে শিক্ষিত হয়ে
যদি সত্য কথা না বলে;
তবে সেই শিক্ষার মূল্য কোথায়?
দেশ সমাজ কেমনে চলে?
ওই শিক্ষিতরা -
বোঝা ছাড়া নয়তো কিছু তাঁরা
সকল শিক্ষা জলে যায়;
আর স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়,
শুধুই মিথ্যা দায় বয়।
যে দেশের পুলিশ ঘুষ খায়
নেতা-মন্ত্রী চুরি করে,
বিচারালয় নেয় না কোন দায়
সেদেশের মঙ্গল কেমনে হয়?
বিশ্বস্ততার মূল্য সব দিয়ে জলাঞ্জলি
গরু-ছাগলের মত জনপ্রতিনিধি বিক্রি হয়
সেই দেশের মঙ্গল কি কভু আসতে পারে,
যদি তাদের চোখে ওই শকুনের দৃষ্টি রয়?
মা-বাবারা শ্রদ্ধার সকল সন্তানের কাছে
খাদ্যে ভেজাল, তোলাবাজি, চুরি ডাকাতি,
বলতে পারো এই দেশেতে ওই জঘন্য কাজ
কারা করতে আসে?
দেখি দেশের নেতা মন্ত্রী কোটিপতি
কিন্তু কঠিন দুর্যোগ ও সংকটকালে;
চাঁদা বলো, খাদ্যের যোগান বলো,
ওই গরিব জনগণের পকেট থেকেই চলে
আমরা জানতাম রাজনীতিটা সমাজ সেবা
ব্যবসা কিংবা জীবন-জীবিকার চাকরি নয়;
তবে কেন ওই মন্ত্রী আর জনপ্রতিনিধিরা
বেতন এবং সারা জীবন অবসার ভাতা পায়?
আর যদি জনসেবা চাকরি ধরে নেই,
তবে কেন শিক্ষা-দীক্ষার মূল্যমান বজায় রবে না?
দেশের গরিব জনগণ জোগাবে অর্থকরী
বিনিময় তারা দেশের থেকে কিছুই পাবে না?
২২ শে মাঘ, ১৪২৮,
ইং ০৫/০২/২০২২,
শনিবার সকাল ৯:২৬। ১৫৮২, ০৫/০২/২০২২।