যে ছাত্ররা রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ধ্বংস করে
মহিলাদের অন্তর্বাস নিয়ে আনন্দ করে
তারা আর যাই হোক ছাত্র নয়;
আর তাদেরকে উৎসাহিত করলে পরে
ন্যায়ের পরিবর্তে অন্যায়কেই প্রশ্রয় দেওয়া হয়।
কলকাতাতে ও দেখলাম বিরাট ছাত্র আন্দোলন
শেষ হয়েও হয় নাই শেষ ধরে রাখছে, করে যতন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের লড়াই
চেতনা ছড়িয়ে দিতে ছাত্রদের এ বিদ্যার বড়াই।
সকাল দখল, দুপুর দখল, রাত্রি দখল,
দখল করলো রাস্তা;
দেশ জুড়ে, বিশ্ব জুড়ে, নাড়িয়ে দিল
এই আন্দোলন ছিল না মোটেই সস্তা।
যা ঘটেছে ওই বাংলাতে ঘটতে পারতো হেথা
বিবেক বোধের ছাত্র সমাজের প্রাণে ছিল ব্যথা।
মৃত্যুর শোধ মৃত্যুতে নয় শত্রু বাড়ায় শুধু
অধার্মিকরা সেই সুযোগে খোঁজে ব্যক্তি স্বার্থের মধু।
মনে হল ঘটে গেল অসাধারণ বিপ্লব
লভ্যাংশটা খুঁজতে গেলে দেখি শুধুই বিপদ।
তেপান্ন বছরের গড়া কৃষ্টি দুমড়ে মুচড়ে গেল
দুশো বছরেও পারবেনা গড়তে; জাতী কি পেল?
ঘা শুকাতে শতেক বছর যাবে কেটে বন্ধু
চামচ দিয়ে কেমনে সেচবে মহানদ সিন্ধু?
মতবাদ রূপি ধর্ম দিয়ে দেশ শাসন হয় না
লাগে শাসনে ওই ন্যায় নীতির সেই গয়না।
মাদ্রাসার শিক্ষা আর স্কুলের শিক্ষা
এ যে আকাশ-পাতাল প্রভেদ;
একটায় ধর্মের প্রভাব, থাকে জাতপাত,
অন্যটায় চেষ্টা করলে হতে পারে সফেদ।
কালো সাদায় মিশলে পরে হবে কালো রং
ভাবতে পারো, সেই শাসকের কেমন হবে ঢং?
চেতনশীলদের বলবো শুধু আলোর কথা ভাবো
সোনার বাংলার সবুজ খেতে লাল সূর্যটাই মাগো।
অন্যায়ের প্রতিরোধে অন্যায় দিয়ে কভু সংশোধিত হয়?
যদি দেশটাই চলে যায় রসাতলে, হবে কি সেটা জয়?
আসবে চেতনা লাগবে সময় ধ্বংসের মুখে গিয়ে
ভাইয়ে ভাইয়ে লড়াই করে আরো ত্রিশ লক্ষের জীবন দিয়ে?
ধর্মীয় মৌলবাদের কোন রাষ্ট্র সুখে আছে কি?
বুঝবো আমরা হয়তো পরে, বনে পরের ঝি।
"সুখে থাকতে ভুতে কিলায়" আছে একটা কথা
চিৎ চেতনায় জাগলে পরে লাগবে প্রাণে ব্যথা।
ছাগল দিয়ে হয় না বন্ধু সোনার ফসলের চাষ
হাল ধরতে হবে কঠিন হাতে, ধরুক জ্ঞানী রাশ।
শুনতে হয়তো খারাপ লাগবে তবু বলতে হয়
জাগুক বাঙালি সেই চেতনায় এবং হউক জয়।
৭ই আশ্বিন, ১৪৩১,
ইং ২৪/০৯/২০২৪,
মঙ্গলবার দুপুর ১২:৫০। ২৫০৪, ২২/১৯৯,
২৬/০৯/২০২৪।