ধর্মের নামে কী শিক্ষা?
পেয়েছে এই হিন্দু লোক;
প্রিয়জনকে খুন করে
ডুব দিলে হয় পুণ্য যোগ।
ধর্মের সেই পুণ্য বাণী
আজ নেতা-নেত্রীর মুখে শুনি;
নিভিয়ে দিয়ে সকল আলো
বসে অন্ধকারের দিন গুনি।
পাপীদের ওই পাপ করতে
উৎসাহ দেয় ধর্মের নামে;
শাসক, শোষক সাধু, সন্ত,
এই ভারতের হিন্দু ধামে।
সব পাপ মুছে যাবে
একবার রাম নামে;
কেন কর এত ভয়?
যাও চলে অযোধ্যাধামে।
ত্রিবেণী সঙ্গম আছে
পাপ মুক্ত করে দেবে;
অন্যায় করেও কেন
নষ্ট করো সময় ভেবে?
এই হল সেই রাজাদের কথা
পাপ পুণ্যের নাই কোন মাথা;
ব্যক্তি স্বার্থে তাই রচিত হলো
মনুসংহিতায় কত গাথা।
ওহো হো এই বিশ্ববাসী
মুখে চেপনা আর বক্র হাসি;
বুদ্ধর এই ভারতবর্ষে
চলছে অন্যায় রাশি রাশি।
ধর্মের নামে ব্যক্তি স্বার্থ
এটাই এদের পরমার্থ;
হতে চায় ওই মহাভারতের
ধনুর্ধারী পান্ডব পার্থ।
কৃষ্ণ রামের মহামিলন
দিচ্ছে প্রবেশপথে শুধুই খিলান
ধর্মের রাজ্য প্রতিষ্ঠার তরে
ধর্ম উপদেশ শুধুই বিলান।
নির্বোধরা সব মিলেমিশে
উদ্বাহু করে শেষে;
নীতিহীন ওই ধর্মের নামে
অকম্মারা দলে মেশে।।
মতবাদ রূপী সব ধর্মের
দেখি সেই একই দশা;
সার্বিক স্বার্থে করেনা কিছু
স্বার্থান্বেষী সৃষ্টি নাশা।
১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১,
ইং ০৪/০৩/২০২৫,
মঙ্গলবার দুপুর ১২:৫০। ২৬৬৫,
২৪/১৯৭, ০৭/০৩/২০২৫।